বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গঠনতন্ত্র, দ্বিতীয় পর্যায়ে প্রকাশ পর্ব ২ ,১৯৭৭

আজকে আমরা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গঠনতন্ত্র, দ্বিতীয় পর্যায়ে প্রকাশ পর্ব ২ ,১৯৭৭ সম্পর্কে আলোচনা করবো।

 

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গঠনতন্ত্র, দ্বিতীয় পর্যায়ে প্রকাশ পর্ব ২ ,১৯৭৭
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গঠনতন্ত্র, দ্বিতীয় পর্যায়ে প্রকাশ পর্ব ২ ,১৯৭৭

 

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গঠনতন্ত্র, দ্বিতীয় পর্যায়ে প্রকাশ পর্ব ২ ,১৯৭৭

সংসদীয় বোর্ড

২৪। (ক) বাংলাদেশ আইন সভার নির্বাচনে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ হইতে প্রার্থী মনোনীত করার জন্য একটি সংসদীয় (পার্লামেন্টারী) বোর্ড গঠিত হইবে।

(খ) উক্ত বোর্ড ১১ জন সদস্য সমবায়ে গঠিত হইবে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ আইন সভার আওয়ামী লীগ সংসদীয় দলের নেতা- এই ৩ জন পদাধিকার বলে উক্ত বোর্ডের সদস্য থাকিবেন। বাকি ৮ জন সদস্য আওয়ামী লীগের কাউন্সিল সদস্যদের মধ্য হইতে কাউন্সিল কর্তৃক নির্বাচিত হইবেন । বোর্ডের কার্যকাল কাউন্সিল কর্তৃক নির্ধারিত হইবে। পদাধিকারবলে যে ৩ জন সদস্য থাকিবেন তাহাদের মধ্যে একই ব্যক্তি একাধিক পদের অধিকারী হইলে তাঁহাদের অতিরিক্ত পদের জন্য নির্দিষ্ট আসনে কাউন্সিল কর্তৃক নুতন সদস্য নির্বাচিত হইবেন ।

(গ) বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি পদাধিকারবলে উক্ত বোর্ডের সভাপতি থাকিবেন এবং সাধারণ সম্পাদক পদাধিকারবলে উক্ত বোর্ডের সম্পাদক থাকিবেন।

(ঘ) উক্ত বোর্ড নির্বাচন সম্পর্কীয় যাবতীয় কার্য সম্পন্ন করিবেন। বোর্ড নির্বাচনী কর্মসূচি প্রণয়ন ও নির্বাচন পরিচালনার জন্য যে কোন ব্যবস্থা অবলম্বন করিতে পারিবে। নির্বাচনে যাঁহারা আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রার্থী হইবেন তাঁহারা উক্ত বোর্ডের নিকট মনোনয়ন প্রার্থনা করিয়া যে দরখাস্ত দাখিল করিবেন তাহার অনুরূপ এক কপি দরখাস্ত জেলা আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহ সংসদের নিকট জেলা আওয়ামী লীগ সম্পাদকের মাধ্যমে লিখিত রশিদ লইয়া বা পোস্টাল রেজিস্ট্রেশন যোগে পাঠাইবেন।

জেলা আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহ সংসদ উক্ত মনোনয়ন প্রার্থীদের গুণাগুণ ও জনপ্রিয়তা প্রভৃতি বিষয় পুরাপুরিভাবে বর্ণনা করিয়া তাঁহাদের সুপারিশ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সংসদীয় বোর্ডের কাছে পাঠাইবেন। সংসদীয় বোর্ড সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময় জেলা আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহ সংসদের সিদ্ধান্তের উপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করিবে । কিন্তু বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সংসদীয় বোর্ডের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে ।

 

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গঠনতন্ত্র, দ্বিতীয় পর্যায়ে প্রকাশ পর্ব ২ ,১৯৭৭
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গঠনতন্ত্র, দ্বিতীয় পর্যায়ে প্রকাশ পর্ব ২ ,১৯৭৭

 

সংসদীয় পার্টি

(ক) বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যে সমস্ত সদস্য আইনসভা বা পরিষদের সভা নির্বাচিত হইবেন তাঁহারা উক্ত আইন সভা বা পরিষদে আওয়ামী লীগ সংসদীয় পার্টি গঠন করিতে ও উহার নিজস্ব কর্মকর্তা নির্বাচন করিতে বাধ্য থাকিবেন। সংসদীয় পার্টিভুক্ত প্রত্যেক সদস্য উক্ত পার্টির সিদ্ধান্ত মানিয়া চলিতে বাধ্য থাকিবেন। উক্ত পার্টির সংখ্যাগুরু সদস্যদের সিদ্ধান্তই পার্টির সিদ্ধান্ত বলিয়া গণ্য হইবে কিন্তু উ সংসদীয় পার্টি প্রতিষ্ঠানের গঠনতন্ত্রের মূল নীতি বা কোনো ধারার বিরুদ্ধে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিতে পারিবে না।

(খ) বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সংসদীয় পার্টির একজন লিডার ও একজন ডেপুটি লিডার থাকিবেন এবং প্রয়োজনবোধে উক্ত পার্টি অন্যান্য কর্মকর্তার পদ সৃষ্টি করিয়া নির্বাচন দ্বারা তাহা পূরণ করিতে পারিবে

(গ) বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সংসদীয় পার্টির মনসাপণ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহ সংসদের উপদেশ ও নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করিতে বাধ্য থাকিবেন। অন্যথায় তাহাদের বিরুদ্ধে ২২-(গ) ধারা প্রযোজ্য হইবে।

(ঘ) বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সংসদীয় পার্টি এই ধারার (খ) উপধারা মতে কর্মকর্তা নির্বাচন করিবার পর কর্মকর্তাগণ এক বৈঠকে মিলিত হইয়া তাহাদের নিজ নিজ কার্যাবলী স্থির করিয়া লইবেন। কিন্তু যদি স্থির করিতে তাঁহারা অক্ষম হন তাহা হইলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহ সংসদ উহা চূড়ান্তভাবে স্থির করিয়া দিবেন ।

(ঙ) বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সংসদীয় পার্টির সদস্যগণ তাহাদের পার্টির তহবিলে ৫.০০ টাকা, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তহবিলে ২০.০০ টাকা, নিজস্ব জেলা আওয়ামী লীগ তহবিলে ১৫.০০ টাকা ও নিজস্ব থানা আওয়ামী লীগ তহবিলে ১০.০০ টাকা একুনে মোট ৫০.০০ টাকা মাসিক চাঁদা দিতে বাধ্য থাকিবেন। অন্যথায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহ সংসদ তাঁহাদের বিরুদ্ধে যে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে ।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন শাখার পারস্পরিক সম্পর্ক ও মর্যাদা

২৬। (ক) বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অধীনে প্রত্যেক জেলায় একটি করিয়া জেলা আওয়ামী লীগ ও ঢাকা নগরে একটি ঢাকা নগর আওয়ামী লীগ গঠিত হইবে।

(খ) প্রত্যেক জেলা আওয়ামী লীগের অধীনে প্রতি থানায় একটি করিয়া থানা আওয়ামী লীগ এবং জেলা সদরে থানার মর্যাদাসম্পন্ন পৌর আওয়ামী লীগ গঠিত হইবে ।

(গ) ঢাকা নগর আওয়ামী লীগের অন্তর্গত প্রতি ইউনিয়নে একটি করিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ গঠিত হইবে এবং সেইগুলি থানা আওয়ামী লীগের মর্যাদাসম্পন্ন হইবে।

(ঘ) ঢাকা নগরের ইউনিয়নসমূহের প্রতি ইউনিটে একটি করিয়া ইউনিট আওয়ামী লীগ গঠিত হইবে এবং ইহা নগর আওয়ামী লীগের প্রাথমিক ইউনিটরূপে গণ্য হইবে ।

(ঙ) প্রত্যেক জেলা আওয়ামী লীগের অধীনে প্রতি থানায় একটি করিয়া থানা আওয়ামী লীগ গঠিত হইবে।

(চ) প্রত্যেক থানা আওয়ামী লীগের অধীনে প্রতি ইউনিয়ন এবং শহর বা পৌর এলাকায় একটি করিয়া ইউনিয়ন, শহর বা পৌর আওয়ামী লীগ গঠিত হইবে ।

(ছ) ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ গঠন করার সময় প্রত্যেক গ্রাম হইতে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন সদস্য গ্রহণ করিতে হইবে ।

 

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গঠনতন্ত্র, দ্বিতীয় পর্যায়ে প্রকাশ পর্ব ২ ,১৯৭৭
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গঠনতন্ত্র, দ্বিতীয় পর্যায়ে প্রকাশ পর্ব ২ ,১৯৭৭

 

জেলা আওয়ামী লীগ

২৭। বাংলাদেশের প্রত্যেক জেলায় নিম্নলিখিত সদস্যগণ সমবায়ে একটি জেলা আওয়ামী লীগ কাউন্সিল গঠিত হইবে:-

(ক) প্রতি থানা আওয়ামী লীগ কাউন্সিল কর্তৃক নির্বাচিত ২৫ জন সদস্য।

(খ) প্রতি জেলা আওয়ামী লীগ কাউন্সিল কর্তৃক উহার দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনী সভার প্রথম অধিবেশনে প্রতি থানা হইতে কো-অপশানকৃত ৫ জন করিয়া সদস্য।

২৮। (ক) জেলা আওয়ামী লীগ কাউন্সিলের মোট সদস্যের এক-পঞ্চমাংশ কাউন্সিলার সভায় উপস্থিত হইলেই কোৱাম হইবে ।

খ) প্রত্যেক কাউন্সিলারকে প্রতি দুই বৎসরের জন্য ৫.০০ টাকা চাঁদা দিতে হইবে।

(গ) জেলা আওয়ামী লীগ কাউন্সিলারদের দেয় উরু চাদা আদায়ের ব্যাপারে জেলা কার্যনির্বাহ সংসদ গঠনতন্ত্রের ১০ ও ১১ ধারায় উল্লেখিত ক্ষমতা প্রয়োগ করিবে।

২৯। প্রত্যেক জেলা আওয়ামী লীগে নিম্নলিখিত কর্মকর্তা থাকিবেন এবং জেলা আওয়ামী লীগ কাউন্সিল উহার ি বার্ষিক নির্বাচনী অধিবেশনে উক্ত কর্মকর্তা নির্বাচন করিবে।

(ক) সভাপতি

(খ) ৩ জন সহ-সভাপতি

(গ) সাধারণ সম্পাদক

(ঘ) সাংগঠনিক সম্পাদক

(ঙ) প্রচার সম্পাদক

(চ) অফিস সম্পাদক

(ছ) ধর্ম সম্পাদক

(জ) কৃষি সম্পাদক

(ঝ) সমাজকল্যান ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক

(ঞ) মহিলা সম্পাদিকা (বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জেলার মহিলা ফ্রন্ট)

(ট) যুব সম্পাদক (বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জেলার যুব শাখা)

(ঠ) কোষাধ্যক্ষ।

৩০। উপরোক্ত জেলা আওয়ামী লীগ কর্মকর্তাগণ ও জেলা আওয়ামী লীগ কাউন্সিল কর্তৃক নির্বাচিত ১৮ জন সদস্য সমবায়ে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহ সংসদ গঠিত হইবে এবং ৭ জন সদস্য সভায় উপস্থিত হইলেই কোরাম হইবে ।

৩১। জেলার যে সমস্ত বিষয় সম্বন্ধে এই গঠনতন্ত্রে কোনো উল্লেখ নাই সে সমস্ত ব্যাপারে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নিয়মাবলী প্রযোজ্য হইবে ।

 

 

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গঠনতন্ত্র, দ্বিতীয় পর্যায়ে প্রকাশ পর্ব ২ ,১৯৭৭
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গঠনতন্ত্র, দ্বিতীয় পর্যায়ে প্রকাশ পর্ব ২ ,১৯৭৭

 

ঢাকা নগর আওয়ামী লীগ

৩২। ঢাকা পৌর এলাকায় জেলা আওয়ামী লীগের মর্যাদা সম্পন্ন একটি নগর আওয়ামী লীগ গঠিত হইবে।

৩৩। নিম্নলিখিত সদস্যগণ সমবায়ে ঢাকা নগর আওয়ামী লীগ কাউন্সিল গঠিত হইবে :-

(ক) নগরের অন্তর্গত প্রতি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ কাউন্সিল কর্তৃক নির্বাচিত ১০ জন সদস্য ।

(খ) নগর আওয়ামী লীগ কাউন্সিল কর্তৃক উহার দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনী সভার প্রথম অধিবেশনে অপশনকৃত ১৫ জন সদস্য।

৩৪। ঢাকা নগর আওয়ামী লীগ নিম্নলিখিত কর্মকর্তা নির্বাচন করিবে :-

(ক) সভাপতি

(খ) ৩ জন সহ-সভাপতি

(গ) সাধারণ সম্পাদক

(ঘ) সাংগঠনিক সম্পাদক

(ঙ) প্রচার সম্পাদক

(চ) অফিস সম্পাদক

(ছ) শ্রম সম্পাদক

(জ) সমাজকল্যাণ ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক

(ঝ) মহিলা সম্পাদিকা (বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মহিলা ফ্রন্ট)

(ঞ) যুব সম্পাদক (যাহা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যুব শাখা)

(ট) কোষাধ্যক্ষ

৩৫। (ক) নগর আওয়ামী লীগ অন্তর্গত প্রত্যেক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ থানা আওয়ামী লীগের মর্যাদাসম্পন্ন হইবে এবং নগর আওয়ামী লীগের অনুরূপ কর্মকর্তা নির্বাচন করিবে। ৩৬ (ক) (খ) (3) উপধারা এবং ৪১ ধারাও উহার প্রতি প্রযোজ্য হইবে।

(খ) নগরের ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অন্তর্গত ইউনিট আওয়ামী লীগগুলো প্রাথমিক ইউনিট বলিয়া গণ্য হইবে এবং এক্ষেত্রে ৩৮, ৩৯ ও ৪১ ধারা প্রযোজ্য হইবে।

(গ) নগর আওয়ামী লীগ অন্যান্য ক্ষেত্রে জেলা আওয়ামী লীগের প্রতি প্রযোজ্য নিয়ম-কানুন অনুসরণ করিবে ।

থানা আওয়ামী লীগ

৩৬। প্রতি থানায় একটি করিয়া থানা আওয়ামী লীগ গঠিত হইবে এবং থানা আওয়ামী লীগ কাউন্সিল নিম্নোক্তভাবে গঠিত হইবে

(ক) প্রতি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ হইতে নির্বাচিত ১০ জন সদস্য।

(খ) প্রত্যেক পৌর আওয়ামী লীগ হইতে নির্বাচিত ১০ জন সদস্য ।

(গ) শহর আওয়ামী লীগের অন্তর্গত প্রতি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ হইতে নির্বাচিত ৭ জন সদস্য ।

(ঘ) থানা আওয়ামী লীগ কাউন্সিল কর্তৃক উহার দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনী সভার প্রথম অধিবেশনে কো- অপশানকৃত ১৫ জন সদস্য

(ঙ) উপরোক্ত কাউন্সিলের প্রত্যেক সদস্যকে দ্বি-বার্ষিক ৩.০০ টাকা হারে চাঁদা প্রদান করিতে হইবে ।

৩৭। থানা আওয়ামী লীগ নিম্নলিখিত কর্মকর্তা নির্বাচন করিবে এবং অন্যান্য ব্যাপারে উহার প্রতি জেলার নিয়মাবলী প্রযোজ্য হইবে :-

(ক) সভাপতি

(খ) ৩ জন সহ-সভাপতি

(গ) সাধারণ সম্পাদক

(ঘ) সাংগঠনিক সম্পাদক

(ঙ) প্রচার সম্পাদক

(চ) অফিস সম্পাদক

(ছ) শ্রম সম্পাদক

(জ) কৃষি সম্পাদক

(ঝ) সমাজকল্যাণ ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক

(ঞ) মহিলা সম্পাদিকা মহিলা ফ্রন্ট

(ট) যুব সম্পাদক- যুব শাখা

(ঠ) কোষাধ্যক্ষ।

পৌর ও শহর আওয়ামী লীগ

৩৮। প্রত্যেক পৌর এলাকায় ও শহরে নিম্নলিখিত সদস্যগণ সমবায়ে পৌর ও শহর আওয়ামী লীগ কাউন্সিল গঠিত হইবে –

(ক) প্রত্যেক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ হইতে নির্বাচিত ১৫ জন সদস্য।

(খ) প্রত্যেক পৌর ও শহর আওয়ামী লীগের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনী সভার প্রথম অধিবেশনে কো-অপশানকৃত ১৫ জন সদস্য।

(গ) পৌর ও শহর আওয়ামী লীগসমূহ ৩৫ ধারার বর্ণনা অনুযায়ী কর্মকর্তা নির্বাচন করিবে এবং অন্যান্য ব্যাপারে উহাদের ক্ষেত্রে থানা আওয়ামী লীগের নিয়মাবলী প্রযোজ্য হইবে ।

(ঘ) পৌর ও শহর আওয়ামী লীগের প্রত্যেকটি ইউনিয়ন প্রাথমিক ইউনিট রূপে গণ্য হইবে এবং উহার ক্ষেত্রে ৩৯, ৪০ ও ৪২ ধারা প্রযোজ্য হইবে ।

 

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গঠনতন্ত্র, দ্বিতীয় পর্যায়ে প্রকাশ পর্ব ২ ,১৯৭৭
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গঠনতন্ত্র, দ্বিতীয় পর্যায়ে প্রকাশ পর্ব ২ ,১৯৭৭

 

প্রাথমিক আওয়ামী লীগ

৩৯। (ক) প্রত্যেক ইউনিয়নে বা নগর আওয়ামী লীগের অন্তর্গত প্রত্যেক ইউনিটে অন্ততপক্ষে ৫০০ জন সদস্য অবশ্য সংগ্রহ করিতে হইবে।

(খ) উপরোক্ত শাখা আওয়ামী লীগগুলির প্রাথমিক সদস্যগণই যথাক্রমে ঐ শাখাসমূহের কাউন্সিলার বা গণ্য হইবেন ।

৪০। (ক) প্রত্যেক ইউনিয়ন পৌর বা ইউনিট আওয়ামী লীগে থানার অনুরূপ কর্মকর্তা ছাড়াও ২৫ জন সদস্য সমবায়ে একটি কার্যনির্বাহ সংসদ গঠিত হইবে।

(খ) কর্মকর্তা ও প্রত্যেক কার্যনির্বাহ সংসদের সদস্যকে দ্বি-বার্ষিক ২.০০ টাকা হারে চাঁদা দিতে হইবে।

৪১ । ঢাকা নগর আওয়ামী লীগের অন্তর্গত ইউনিটগুলো ছাড়া পৌর এলাকার বা ইউনিয়নের অন্তর্গত যে সমস্ত ইউি থাকিবে তাহাদের আলাদা কোনো ইউনিট আওয়ামী লীগ গঠিত হইবে না।

৪২। জেলা, নগর, থানা, শহর, পৌর বা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কাউন্সিল সভা ও কার্যনির্বাহ সংসদের সর ক্ষেত্রে যথাক্রমে গঠনতন্ত্রের ১৮ ও ২০ ধারা প্রযোজ্য হইবে ।

প্রাতিষ্ঠানিক শৃঙ্খলা

(ক) কোনো সদস্য আওয়ামী লীগের আদর্শ, উদ্দেশ্য, কর্মসূচি, গঠনতন্ত্র, নিয়মাবলী বা প্রতিষ্ঠানের স্বার্থের পরিপন্থী কার্যকলাপে অংশগ্রহণ করিলে এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কাউন্সিল, কার্যনির্বাহ সংসদ সংসদীয় বোর্ড বা সংসদীয় পার্টির বিরুদ্ধে কোনো কার্য করিলে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহ সংসদ তাঁহার বিরুদ্ধে যে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে ।

(খ) বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহ সংসদের শাস্তিমূলক ব্যবস্থার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ আওয়া কাউন্সিলের নিকট প্রতিষ্ঠানের সাধারণ সম্পাদকের মাধ্যমে আপীল করা চলিবে এবং এইরূপ ক্ষেত্রে কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে ।

(গ) আপীলের আবেদনপত্র সাধারণ সম্পাদক প্রাপ্তির রশিদ দিয়া গ্রহণ করিবেন এবং কাউন্সিলের নিকট পেশ করিতে বাধ্য থাকিবেন। অন্যথায় কাউন্সিলের যে কোনো সদস্য সভাপতির অনুমতি লইয়া বিষয়টি বিবেচনা ও সে সম্পর্কে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য উত্থাপন করিতে পারিবেন।

(ঘ) কাউন্সিল সভা আহ্বানের নোটিশ দেওয়ার ৭ দিনের মধ্যে উক্ত আপীলের দরখাস্ত সাধারণ সম্পাদকের নিকট পেশ করিতে হইবে। সাধারণ সম্পাদক এইরূপ ক্ষেত্রে উক্ত বিষয়গুলো কাউন্সিলের কার্যসূচিভুক্ত করিতে বাধ্য থাকিবেন।

(ঙ) শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে নোটিশ প্রাপ্তির ১৫ দিনের মধ্যে আত্মপক্ষ সমর্থন করিয়া উপযুক্ত কারণ দর্শাইবার জন্য সুযোগদানের উদ্দেশ্যে সাধারণ সম্পাদক পোস্টাল রেজিস্ট্রেশনযোগে নোটিশ দিতে বাধ্য থাকিবেন ।

(চ) শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ প্রমাণিত হইলে অপরাধের গুরুত্ব অনুসারে যে কোনোরূপ শাস্তি প্রদানের ক্ষমতা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহ সংসদের থাকিবে ।

(ছ) প্রতিষ্ঠানের কোনো সদস্যের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে শাস্তি প্রদানের জন্য নিম্নতম যে কোন শাখা আওয়ামী লীগের লিখিত অনুরোধপত্র পাওয়ার পর থানা আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহ সংসদ নিজেদের সিদ্ধান্তসহ উক্ত অনুরোধপত্র জেলা কার্যনির্বাহ সংসদের নিকট পাঠাইবে।

জেলা কার্যনির্বাহ সংসদ এ সম্বন্ধে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিয়া উক্ত বিষয় বিবেচনা পূর্বক চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের মাধ্যমে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহ সংসদের নিকট প্রেরণ করিবে। এছাড়া জেলা আওয়ামী লীগ স্বয়ং প্রতিষ্ঠানের কোনো সদস্যের বিরুদ্ধে উপরোক্ত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণে আবশ্যকতা বোধ করিলে জেলা কার্যনির্বাহ সংসদের সিদ্ধান্ত আপন করিয়া বিষয়টি বিবেচনা পূর্বক সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের কার্যনির্বাহ সংসদের নিকট প্রেরণ করিবে ।

(জ) প্রতিষ্ঠানের কোনো সদস্যের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ ক্ষমতা একমাত্র বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহ সংসদের থাকিবে।

(ঝ) প্রত্যেক শাখা আওয়ামী লীগকে তাহার উর্ধ্বতন শাখার নিকট হইতে মঞ্জুরি গ্রহণ করিতে হইবে। ইহা ছাড়া আবশ্যকবোধে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহ সংসদ যে কোনো শাখাকে সরাসরি মঞ্জুরি প্রদান করিতে পারিবে।

(ঞ) কোনো শাখা আওয়ামী লীগের মধ্যে প্রতিষ্ঠান সংক্রান্ত কোনো গোলযোগ বা বিরোধ দেখা দিলে ঊর্ধ্বতন শাখা উহা নিষ্পত্তি করিতে পারিবে। কিন্তু এই নিষ্পত্তির বিরুদ্ধে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহ সংসদের নিকট আপীল করা চলিবে এবং সেই ক্ষেত্রে উহার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে।

প্রাতিষ্ঠানিক নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল

৪৪ । বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহ সংসদ প্রতিষ্ঠানের নির্বাচন সংক্রান্ত গোলযোগ নিষ্পত্তির জন্য ৫ সদস্য সমবায়ে একটি ট্রাইব্যুনাল গঠন করিতে পারিবে এবং এই ট্রাইব্যুনালের উপর যে কোনো ক্ষমতা ন্যস্ত করিতে পারিবে । এই ট্রাইব্যুনালের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কার্যনির্বাহ সংসদের নিকট আপীল করা চলিবে। কার্যনির্বাহ সংসদের সিদ্ধান্তই এ ব্যাপারে চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে ।

আওয়ামী লীগ তহবিল

৪৫। (ক) প্রত্যেক কাউন্সিলারের ১০.০০ টাকা হারে চাঁদা।

(খ) আইন সভা বা পরিষদে নির্বাচিত আওয়ামী লীগ দলভুক্ত প্রত্যেক সদস্যের মাসিক ২৫.০০ টাকা হারে চাঁদা

(গ) প্রত্যেক জেলার মঞ্জুরি ফি বাবদ ৫.০০ টাকা।

(ঘ) বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রচার দফতর কর্তৃক প্রকাশিত পত্র-পত্রিকা বিক্রয়লব্ধ অর্থ ।

(ঙ) এককালীন দান।

(চ) সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ।

(ছ) সামাজিক অনুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ

(জ) সাহায্য প্রদর্শনীর মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ ।

(ঝ) প্রাথমিক সদস্য শ্রেণীভুক্ত হওয়ার জন্য দেয় বি-বার্ষিক চাঁদার অংশ ।

জেলা বা নগর আওয়ামী লীগ তহবিল

(ঞ) জিলা বা নগর আওয়ামী লীগ কাউন্সিল সদস্যদের প্রত্যেকের দ্বি-বার্ষিক ৫.০০ টাকা হারে চাঁদা ।

(ট) প্রত্যেক থানা বা পৌর এলাকার এবং নগর আওয়ামী লীগের অধীনস্থ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের মঞ্জুরি ফী বাবদ ১৫.০০ টাকা।

(ঠ) আইনসভার স্থানীয় আওয়ামী লীগ দলভুক্ত প্রত্যেক সদস্যের মাসিক ১৫.০০ টাকা হারে চাঁদা ।

(ড) এককালীন দান ।

থানা আওয়ামী লীগ তহবিল

(ঢ) প্রত্যেক কাউন্সিলারের দ্বি-বার্ষিক ১.০০ টাকা হারে চাঁদা ।

(ণ) প্রত্যেক ইউনিয়ন ও পৌর আওয়ামী লীগে মঞ্জুরী ফি বাবদ ২.০০ টাকা

(ত) আইন সভার স্থানীয় আওয়ামী লীগ দলভুক্ত প্রত্যেক সদস্যের ২০.০০ টাকা হারে চাঁদা

(থ) এককালীন দান।

ইউনিয়ন বা পৌর এবং নগরের অন্তর্গত ইউনিট আওয়ামী লীগ তহবিল

(দ) কর্মকর্তা ও কার্যনির্বাহ সংসদের সদস্যদের প্রত্যেকের দ্বি-বার্ষিক ১.০০ টাকা হারে চাঁদা ।

(ধ) এককালীন দান ।

আওয়ামী লীগ সংসদীয় পার্টি তহবিল

(ন) ২৫(৪) উপধারা অনুযায়ী সংসদীয় পার্টির প্রত্যেক সদস্যের মাসিক ৫.০০ টাকা চাঁদা।

(প) সদস্যের এককালীন দান ।

৪৬। আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্য শ্রেণীভুক্ত হওয়ার জন্য দেয় দ্বি-বার্ষিক ২.০০ টাকা চাঁদা নিম্নোক্ত হারে বিভিন্ন শাখার মধ্যে ভাগ করা হইবে।

(ক) প্রাথমিক ইউনিট ১.০০ টাকা।

(খ) থানা ৪০ পয়সা।

(গ) জেলা – ৪০ পয়সা।

(ঘ) বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ২০ পয়সা

(ঙ) নগরের অন্তর্গত কোনো থানা আওয়ামী লীগ না থাকায় উপরোক্ত ২.০০ টাকা চাঁদার ১.০০ টাকা ইউনিট আওয়ামী লীগ, ৬০ পয়সা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, ২০ পয়সা নগর আওয়ামী লীগ এবং অবশিষ্ট ২০ পয়সা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ পাইবে।

 

 

google news logo
আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

 

আওয়ামী লীগ তহবিল পরিচালনা

৪৭। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় জেলা বা নগর, থানা, ইউনিয়ন বা পৌর এবং নগরের ইউনিট এবং আওয়ামী সংসদীয় পার্টিসিল স্বাক্ষর এবং নম্বরযুক্ত রশিদ দিয়া সকল চাঁদা বা দান গ্রহণ করিবেন এবং আয়ব্যয়ের হিসাব রাখিবেন । আদায়কৃত অর্থ বাংলাদেশের যে কোনো তফসিলভুক্ত ব্যাংকে জমা রাখা হইবে। ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ নিজ নিজ শাখার সাধারণ সম্পাদক ও কোষাধ্যক্ষ্যের যুক্ত স্বাক্ষরে উঠানো যাইবে। দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনের সময় সকল শাখার সাধারণ সম্পাদক তাহাদের নিজ নিজ শাখার আয়-ব্যয়ের হিসাব অগ্নে অডিট করাইয়া দাখিল ও প্রকাশ করিবেন ।

বিবিধ বিধান

৪৮। জেলা, নগর, থানা, শহর, পৌর ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহ সংসদের সভা বৎসরে অন্ততঃ দুইবার কাউন্সিল অধিবেশন আহ্বান করিবে। ইহা ছাড়া এক-তৃতীয়াংশ সদস্যের লিখিত রিকুইজিশনপত্র সাধারণ সম্পাদকের নিকট পেশ করার ৩০ দিনের মধ্যে সাধারণ সম্পাদক অধিবেশন আহ্বান করিতে বাধ্য থাকিবেন। অন্যথায় ১৫(খ) ধারা অনুসারে রিকুইজিশনকারী সদস্যগণ ব্যবস্থা অবলম্বন করিতে পারিবেন।

৪৯। জেলা, নগর, থানা, শহর, পৌর ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহ সংসদের সভা অন্ততঃ পক্ষে মাসে একবার আহবান করিতে হইবে। ইহা ছাড়া ১০ জন সদস্যের স্বাক্ষরযুক্ত রিকুইজিশনপত্র প্রাপ্তির ১০ দিনের মধ্যে সাধারণ সম্পাদক সভা আহবান করিতে বাধ্য থাকিবেন। অন্যথায় রিকুইজিশনকারী সদস্যগণ ৪৯ ধারায় বর্ণিত কর্মপন্থা অবলম্বন করিতে পারিবেন।

৫০। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহ সংসদের সভা আহ্বানের জন্য ২১ জন সদস্যের রিকুইজিশনপত্র প্রাপ্তির ১০ দিনের মধ্যে সাধারণ সম্পাদক কার্যনির্বাহ সংসদের সভা আহ্বান করিতে বাধ্য থাকিবেন। সাধারণ সম্পাদক

ছাড়াও রিকুইজিশনপত্রের এক কপি প্রতিষ্ঠানের সভাপতির নিকট প্রদান করিতে হইবে। রিকুইজিশনপত্র প্রাপ্তির ১০ দিনের মধ্যে সাধারণ সম্পাদক বা সভাপতি সভা আহ্বান না করিলে রিকুইজিশনকারী সদস্যগণ নিজেরাই ৪ দিনের নোটিশ প্রদান করিয়া সভা আহ্বান করিতে পারিবেন।

৫১। রাষ্ট্রপ্রধান, রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার, ডেপুটি হাইকমিশনার, ট্রেড কমিশনার, কনসাল, আইন সভার সভাপতি বা সহ-সভাপতি, মন্ত্রী, স্টেটমন্ত্রী, ডেপুটি মন্ত্রী, পার্লামেন্টারী সেক্রেটারী, পলিটিক্যাল সেক্রেটারী, সরকারী দলের চিহ্ন হুইপ, অ্যাডভোকেট জেনারেল বা উক্ত পদসমূহের অনুরূপ কোনো সরকারি চাকুরি বা পদ গ্রহণের পর প্রতিষ্ঠানের কোন সদস্য গঠনতন্ত্রের ৬, ২৯, ৩৪ ৩ ৩৭ ধারায় বর্ণিত কোন কর্মকর্তা থাকিতে পারিবেন না।

আওয়ামী লীগের কোন কর্মকর্তা যদি উপরোক্ত পদসমূহের কোনো একটি গ্রহণ করেন তবে উক্ত পদপ্রাপ্তির এক মাসের মধ্যে তিনি আওয়ামী লীগ কর্মকর্তার পদ ত্যাগ করিয়া সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট তাহার দায়িত্বভার বুঝাইয়া দিবেন। অন্যথায় এক মাস পরে উক্ত কর্মকর্তার প্রতিষ্ঠানের পদ আপনাআপনি শূন্য বলিয়া গণ্য হইবে ।

৫২। আওয়ামী লীগের কোন সদস্য অন্য কোনো রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের সদস্য হইতে পারিবেন না কিংবা অন্য কোনো রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের সহিত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহ সংসদের অনুমতি ছাড়া কোনোরূপ রাজনৈতিক সম্পর্ক রাখিতে পারিবেন না। যদি কোনো সদস্য উপরি উক্ত বিধান লংঘন করেন তা হইলে তার সদস্য পদ বাতিল বলিয়া গণ্য হইবে।

৫৩। অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের কোনো ভূতপূর্ব বা বর্তমান সদস্য আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্য শ্রেণীভূক্ত হইতে চাহিলে তিনি তাঁহার নিজের জেলার জেলা আওয়ামী লীগের অনুমতি চাহিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের নিকট পত্র দিবেন। সংশ্লিষ্ট জেলা আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহ সংসদের অনুমতি ছাড়া উপরোক্তরূপ কোনো ব্যক্তিকে আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্য শ্রেণীভুক্ত করা যাইবে না।

তবে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহ সংসদের সিদ্ধান্ত উপরোক্ত ব্যক্তির মনঃপুত না হইলে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহ সংসদের নিকট উক্ত সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আবেদন করিতে পারিবেন এবং এই ব্যাপারে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহ সংসদের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে । বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহ সংসদ ইচ্ছা করিলে সরাসরিভাবেও যে কোনো ব্যক্তিকে প্রাথমিক সদস্য শ্রেণিভুক্ত হইবার অনুমতি নিতে পারিবে। কিন্তু প্রত্যেক অবস্থায়ই নবাগত সদস্যগণ দুই বৎসরের মধ্যে আওয়ামী লীগের কোনো কর্মকর্তার পদ গ্রহণ করিতে পারিবেন না ।

৫৪। (ক) বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যে কোনো কর্মকর্তা বা কার্যনির্বাহ সংসদ সদস্য এবং আওয়ামী লীগ পরিষদ দলের যে কোনো সদস্য আওয়ামী লীগের নিম্নতম যে কোন শাখার যে কোনো সভা বা অধিবেশনে যোগদান করিয়া আলোচনায় অংশগ্রহণ করিতে পারিবেন; কিন্তু ভোট দিতে পারিবেন না।

(খ) প্রত্যেক জেলা, নগর, থানা, পৌর বা শহর আওয়ামী লীগের যে কোনো কর্মকর্তা অথবা কার্যনির্বাহ সংসদ সদস্য নিম্নতম যে কোনো শাখার যে কোনো সভা বা অধিবেশনে যোগদান করিয়া আলোচনায় অংশগ্রহণ করিতে পারিবেন; কিন্তু ভোট দিতে পারিবেন না ।

৫৫ । অত্র গঠনতন্ত্রে যেসব বিষয়ের উল্লেখ নাই সেসব বিষয়ে উদ্ভূত সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহ সংসদের থাকিবে ।

৫৬। (ক) বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কাউন্সিলের নির্বাচন, বার্ষিক বা বিশেষ অধিবেশনে সভাপতির অনুমতি সাপেক্ষে উপস্থিত সদস্যদের দুই-তৃতীয়াংশের ভোটাধিক্যে অত্র গঠনতন্ত্রের বিধানসমূহ বা যে কোন বিধান বা তাহার অংশ বিশেষ পরিবর্তন, পরিবর্ধন বা সংশোধন করা চলিবে।

(খ) গঠনতন্ত্র পরিবর্তন, পরিবর্ধন বা সংশোধন করিবার উদ্দেশ্যেই যদি কাউন্সিল সভা আহ্বান করা হয় তবে উপস্থিত সদস্যদের সংখ্যাধিক্যের ভোটে উহা করা চলিবে ।

(গ) কাউন্সিলের নির্বাচনী সাধারণ বা বিশেষ অধিবেশনকে উপরোক্ত (খ) উপধারায় উল্লেখিত কাউন্সিল হিসাবে গণ্য করিতে হইলে কাউন্সিল অধিবেশন আহ্বানের নোটিশে উক্ত বিষয় কর্মসূচির অন্তর্ভুক্ত করিতে হইবে ।

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment