আজকে আমরা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গঠনতন্ত্র, সংশোধিত সংস্করন পর্ব ২, পহেলা ডিসেম্বরঃ১৯৮১ইং সম্পর্কে আলোচনা করবো।

Table of Contents
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গঠনতন্ত্র, সংশোধিত সংস্করন পর্ব ২, পহেলা ডিসেম্বরঃ১৯৮১ইং
সংসদীয় পার্টি
২৫। (ক) বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যে সমস্ত সদস্য আইনসভা বা পরিষদের সভা নির্বাচিত হইবেন তাঁহারা উক্ত আইন সভা বা পরিষদে আওয়ামী লীগ সংসদীয় পার্টি গঠন করিতে ও উহার নিজস্ব কর্মকর্তা নির্বাচন করিতে বাধা থাকিবেন। সংসদীয় পার্টিভুক্ত প্রত্যেক সদস্য উক্ত পার্টির সিদ্ধান্ত মানিয়া চলিতে বাধ্য থাকিবেন। উক্ত পার্টির সংখ্যাগুরু সদস্যদের সিদ্ধান্তই পার্টির সিদ্ধান্ত বলিয়া গণ্য হইবে; কিন্তু উক্ত সংসদীয় পার্টি প্রতিষ্ঠানের গঠনতন্ত্রের মূল নীতি বা কোন ধারার বিরুদ্ধে কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিতে পারিবেনা ।
(খ) বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সংসদীয় পার্টির একজন লীডার ও একজন ডেপুটি লীডার থাকিবেন এবং প্রয়োজনবোধে উক্ত পার্টি অন্যান্য কর্মকর্তার পদ সৃষ্টি করিয়া নির্বাচন দ্বারা তাহা পূরণ করিতে পারিবেন ।
(গ) বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সংসদীয় পার্টির সদস্যগণ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী সংসদের উপদেশ ও নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করিতে বাধ্য থাকিবেন। অন্যথায় তাহাদের বিরুদ্ধে ২২-(গ) ধারা প্রযোজ্য হইবেন ।
(ঘ) বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সংসদীয় পার্টি এই ধারার (ঘ) উপধারা মতে কর্মকর্তা নির্বাচন করিবার পর কর্মকর্তাগণ এক বৈঠকে মিলিত হইয়া তাঁহাদের নিজ নিজ কার্যাবলী স্থির করিয়া লইবেন। কিন্তু যদি ইহা স্থির করিতে তাহারা অক্ষম হন তাহা হইলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী সংসদ উহা চূড়ান্তভাবে স্থির করিয়া দিবেন ।
(ঙ) বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সংসদীয় পার্টির সদস্যগণ তাঁহাদের পার্টির তহবিলে ৫.০০ টাকা, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তহবিলে ২০.০০ টাকা, নিজস্ব জেলা আওয়ামী লীগ তহবিলে ১৫.০০ টাকা ও নিজস্ব থানা আওয়ামী লীগ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সংক্ষিপ্ত ইতিহাস ও নির্বাচিত দলিল | দ্বিতীয় খ তহবিলে ১০.০০ টাকা এনে মোট ৫০.০০ টাকা মাসিক চাঁদা দিতে বাধ্য থাকিবেন। অন্যথায় বাংলাদেশ আওয়া লীগ কার্যনির্বাহী সংসদ তাঁহাদের বিরুদ্ধে যে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবেন।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন শাখার পারস্পরিক সম্পর্ক ও মর্যাদা
২৬। (ক) বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অধীনে ঢাকা মহানগরে একটি ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ গঠিত হইবে। এবং প্রত্যেক জেলায় একটি করিয়া জেলা আওয়ামী লীগ এবং চট্টগ্রাম, খুলনা ও রাজশাহী পৌর এলাকায় জেলার মর্যাদা সম্পন্ন একটি করিয়া নগর আওয়ামী লীগ গঠিত হইবে ।
(খ) প্রত্যেক জেলা আওয়ামী লীগের অধীনে প্রতি থানায় একটি করিয়া থানা আওয়ামী লীগ এবং জেলা সদরে থানার মর্যাদাসম্পন্ন পৌর আওয়ামী লীগ গঠিত হইবে।
(গ) ঢাকা মহানগরী আওয়ামী লীগের অন্তর্গত প্রতি ওয়ার্ডে একটি করিয়া ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ গঠিত হইবে এবং সেইগুলি থানা আওয়ামী লীগের মর্যাদাসম্পন্ন হইবে ।
(ঘ) ঢাকা মহানগরের ওয়ার্ডসমূহের প্রতি ইউনিটে একটি করিয়া ইউনিট আওয়ামী লীগ গঠিত হইবে এবং ইহা মহানগর আওয়ামী লীগের প্রাথমিক ইউনিটরূপে গণ্য হইবে ।
(ঙ) প্রত্যেক থানা আওয়ামী লীগের অধীনে প্রতি ইউনিয়ন এবং শহর বা পৌর এলাকায় একটি করিয়া ইউনিয়ন, শহর বা পৌর আওয়ামী লীগ গঠিত হইবে ।
(চ) ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ গঠন করার সময় প্রত্যেক গ্রাম হইতে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন সদস্য গ্রহণ করিতে হইবে ।
(ছ) চট্টগ্রাম, খুলনা ও রাজশাহী নগর আওয়ামী লীগের অধীনে যদি একাধিক থানা থাকে তবে উহা ঠিকই থাকিবে কিন্তু যদি কোনটিতে শুধু মাত্র একটি থানা থাকে তবে প্রত্যেকটি ওয়ার্ড থানার মর্যাদা পাইবে ।

জেলা আওয়ামী লীগ (সাংগঠনিক)
২৭। বাংলাদেশের প্রত্যেক সাংগঠনিক জেলায় নিম্নলিখিত সদস্যগণ সমবায়ে একটি জেলা আওয়ামী কাউন্সিল গঠিত হইবে
(ক) প্রতি থানা আওয়ামী লীগ কাউন্সিল কর্তৃক নির্বাচিত ২৫ জন সদস্য ।
(খ) প্রতি জেলা আওয়ামী লীগ কাউন্সিল কর্তৃক উহার দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনী সভার প্রথম অধিবেশনে প্রতি থানা হইতে কো-অপশানকৃত ৫ জন করিয়া সদস্য।
২৮। (ক) জেলা আওয়ামী লীগ কাউন্সিলের মোট সদস্যের এক পঞ্চমাংশ কাউন্সিলার সভায় উপস্থিত হইলেই কোরাম হইবে ।
(খ) প্রত্যেক কাউন্সিলারকে প্রতি দুই বৎসরের জন্য ৫.০০ টাকা চাঁদা দিতে হইবে ।
(গ) জেলা আওয়ামী লীগ কাউন্সিলারদের দেয় উরু চাঁদা আদায়ের ব্যাপারে জেলা কার্যনির্বাহী সংসদ গঠনতন্ত্রের ১ ও ১০ ধারায় উল্লেখিত ক্ষমতা প্রয়োগ করিবে ।
২৯। প্রত্যেক জেলা আওয়ামী লীগে নিম্নলিখিত কর্মকর্তা থাকিবেন এবং জেলা আওয়ামী লীগ কাউন্সিল উহার দ্বি- বার্ষিক নির্বাচনী অধিবেশনে উক্ত কর্মকর্তা নির্বাচন করিবে
(ক) সভাপতি
(খ) ৩ জন সহ-সভাপতি
(গ) সাধারণ সম্পাদক
(ঘ) সাংগঠনিক সম্পাদক
(ঙ) প্রচার সম্পাদক
(চ) অফিস সম্পাদক
(ছ) শ্রম সম্পাদক
(জ) কৃষি সম্পাদক
(ঝ) শিক্ষা ও সংস্কৃতি সম্পাদক
(ঞ) সমাজ কল্যাণ সম্পাদক
(ট) মহিলা সম্পাদিকা (জেলা আওয়ামী লীগের মহিলা ফ্রন্ট)
(ঠ) যুব সম্পাদক (জেলা আওয়ামী লীগের যুব শাখা)
(ড) কোষাধ্যক্ষ।
৩০। উপরোক্ত জেলা আওয়ামী লীগ কর্মকর্তাগণ ও জেলা আওয়ামী লীগ কাউন্সিল কর্তৃক নির্বাচিত ২৫ জন সদস্য সমবায়ে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী সংসদ গঠিত হইবে এবং ৭ জন সদস্য সভায় উপস্থিত হইলেই কোরাম হইবে।
৩১। জেলার যে সমস্ত বিষয় সম্বন্ধে এই গঠনতন্ত্রে কোন উল্লেখ নাই সে সমস্ত ব্যাপারে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নিয়মাবলী প্রযোজ্য হইবে । জেলা আওয়ামী লীগের অধীনস্থ থানা, শহর, পৌর ইউনিয়ন চট্টগ্রাম, খুলনা ও রাজশাহী নগর আওয়ামী লীগের অধীনস্থ থানা, পৌর ওয়ার্ড নির্দিষ্ট সময়ে স্ব স্ব কমিটি গঠনে ব্যর্থ হইলে জেলা আওয়ামী লীগ ৬ (গ) ৩৭ ধারার অনুরূপ ক্ষমতা প্রয়োগ করিতে পারেন ।
ঢাকা মহানগরী আওয়ামী লীগ
৩২। ঢাকা পৌর এলাকায় বিশেষ মর্যাদা সম্পন্ন একটি মহানগর আওয়ামী লীগ গঠিত হইবে
৩৩ । নিম্নলিখিত সদস্যগণ সমবায়ে ঢাকা মহানগরী আওয়ামী লীগ কাউন্সিল গঠিত হইবে;
(ক) মহানগরীর অন্তর্গত প্রতি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ কাউন্সিল কর্তৃক নির্বাচিত ১০ জন সদস্য ।
(খ) মহানগরী আওয়ামী লীগ কাউন্সিল কর্তৃক উহার দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনী সভার প্রথম অধিবেশনে কো-অপশনকৃত ১৫ জন সদস্য ।
৩৪। ঢাকা মহানগরী আওয়ামী লীগ নিম্নলিখিত কর্মকর্তা নির্বাচন করিবে।
(ক) সভাপত্তি
(খ) পাঁচ জন সহ-সভাপতি
(গ) সাধারণ সম্পাদক
(ঘ) দুই জন যুগ্ম সম্পাদক
(ঙ) সাংগঠনিক সম্পাদক
(চ) প্রচার সম্পাদক
(ছ) অফিস সম্পাদক
(জ) শ্রম সম্পাদক
(ঝ) শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক
(ঞ) সমাজ কল্যাণ সম্পাদক
(ট) মহিলা সম্পাদিকা মহানগরী আওয়ামী লীগ মহিলা ফ্রন্ট)
(ঠ) যুব সম্পাদক (মহানগরী আওয়ামী লীগ যুব শাখা)
(ড) কোষাধ্যক্ষ
(ঢ) সদস্য সংখ্যা ৩৪
৩৫। (ক) মহানগরী আওয়ামী লীগ অন্তর্গত প্রত্যেক ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ থানা আওয়ামী লীগের মর্যাদাসম্পন্ন হইবে এবং মহানগরী আওয়ামী লীগের অনুরূপ কর্মকর্তা নির্বাচন করিবে। ৩৬ (ক) (ঘ) (৫) উপধারা এবং ৪১ ধারাও উহার প্রতি প্রযোজ্য হইবে ।
(খ) মহানগরী ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের অন্তর্গত ইউনিট আওয়ামী লীগগুলি প্রাথমিক ইউনিট বলিয়া গণ্য হইবে এবং এক্ষেত্রে ৩৮, ৩৯ ও ৪১ ধারা প্রযোজ্য হইবে ।
(গ) মহানগর আওয়ামী লীগ অন্যান্য ক্ষেত্রে জেলা আওয়ামী লীগের প্রতি প্রযোজ্য নিয়ম কানুন অনুসরণ করিবে।

থানা আওয়ামী লীগ
৩৬। প্রতি থানায় একটি করিয়া থানা আওয়ামী লীগ গঠিত হইবে। থানা আওয়ামী লীগ কাউন্সিল নিম্নোক্তভাবে গঠিত হইবে
(ক) প্রতি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ হইতে নির্বাচিত ১০ জন সদস্য ।
(খ) প্রত্যেক পৌর আওয়ামী লীগ হইতে নির্বাচিত ১০ জন সদস্য।
(গ) শহর আওয়ামী লীগের অন্তর্গত প্রতি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ হইতে নির্বাচিত ৭ জন সদস্য।
(ঘ) থানা আওয়ামী লীগ কাউন্সিল কর্তৃক উহার দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনী সভার প্রথম অধিবেশনে কো-অপশানকৃত ১৫ (পনের) জন সদস্য
(ঙ) উপরোক্ত কাউন্সিলের প্রত্যেক সদস্যকে দ্বি-বার্ষিক ৩.০০ টাকা হারে চাঁদা প্রদান করিতে হইবে ।
৩৭। থানা আওয়ামী লীগ নিম্নলিখিত কর্মকর্তা নির্বাচন করিবে এবং অন্যান্য ব্যাপারে উহার প্রতি জেলার নিয়মাবলী প্রযোজ্য হইবে,
(ক) সভাপতি
(খ) ৩ জন সহ-সভাপতি
(গ) সাধারণ সম্পাদক
(ঘ) সাংগঠনিক সম্পাদক
(ঙ) প্রচার সম্পাদক
(চ) অফিস সম্পাদক
(ছ) এ সম্পাদক
(জ) কৃষি সম্পাদক
(ঝ) শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক
(ঞ) সমাজকল্যাণ সম্পাদক
(ট) মহিলা সম্পাদিকা মহিলা ফ্রন্ট
(ঠ) যুব সম্পাদক-যুব শাখা
(ড) কোষাধ্যক্ষ
পৌর ও শহর আওয়ামী লীগ
৩৮ । প্রত্যেক পৌর এলাকায় ও শহরে নিম্নলিখিত সদস্যগণ সমবায়ে পৌর ও শহর আওয়ামী লীগ কাউন্সিল গঠিত হইবে:
(ক) প্রত্যেক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ হইতে নির্বাচিত ১৫ জন সদস্য । (গ) প্রত্যেক পৌর ও শহর আওয়ামী লীগের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনী সভার প্রথম অধিবেশনে কো-অপশনকৃত ১৫ জন সদস্য (গ) পৌর ও শহর আওয়ামী লীগসমূহ ৩৫ ধারার বর্ণনা অনুযায়ী কর্মকর্তা নির্বাচন করিবে এবং অন্যান্য ব্যাপারে উহাদের ক্ষেত্রে থানা আওয়ামী লীগের নিয়মাবলী প্রযোজ্য হইবে । (ঘ) পৌর ও শহর আওয়ামী লীগের প্রত্যেকটি ইউনিয়ন প্রাথমিক ইউনিট রূপে গণ্য হইবে এবং উহার ক্ষেত্রে ৩. ৪০ ৩৪২ ধারা প্রযোজ্য হইবে।
প্রাথমিক আওয়ামী লীগ
৩৯। (ক) প্রত্যেক ইউনিয়নে বা নগর ও মহানগরী আওয়ামী লীগের অন্তর্গত প্রত্যেক ইউনিটে বস্তুতপক্ষে ৫০০ (পাঁচশত) জন সদস্য অবশ্য সংগ্রহ করিতে হইবে।
(খ) উপরোক্ত শাখা আওয়ামী লীগগুলির প্রাথমিক সদস্যগণই যথাক্রমে ঐ শাখাসমূহের কাউন্সিলার বলিয়া গণ্য হইবেন ।
৪০। (ক) প্রত্যেক ইউনিয়ন পৌর বা ইউনিট আওয়ামী লীগে থানার অনুরূপ কর্মকর্তা ছাড়াও ২৫ জন সদস্য সমবায়ে একটি কার্যনির্বাহী সংসদ গঠিত হইবে।
(খ) কর্মকর্তা ও প্রত্যেক কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্যকে দ্বি-বার্ষিক ২.০০ টাকা হারে চাঁদা দিতে হইবে।
৪১। ঢাকা মহানগরী আওয়ামী লীগের অন্তর্গত ইউনিটগুলি ছাড়া পৌর এলাকার বা ইউনিয়নের অন্তর্গত যে সমস্ত ইউনিট থাকিবে তাহাদের আলাদা কোন ইউনিট আওয়ামী লীগ গঠিত হইবে না।
৪২। জেলা, মহানগর, নগর, থানা, শহর, পৌর বা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কাউন্সিল সভা ও কার্যনির্বাহী সংসদের সভার ক্ষেত্রে যথাক্রমে গঠনতন্ত্রের ১৮ ও ২০ ধারা প্রযোজ্য হইবে।

প্রাতিষ্ঠানিক শৃঙ্খলা
৪৩। (ক) কোন সদস্য আওয়ামী লীগের আদর্শ, উদ্দেশ্য, কর্মসূচী, গঠনতন্ত্র, নিয়মাবলী বা প্রতিষ্ঠানের স্বার্থের পরিপন্থী কার্যকলাপে অংশগ্রহণ করিলে এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কাউন্সিল, কার্যনির্বাহ সংসদ, সংসদীয় বোর্ড বা সংসদীয় পার্টির বিরুদ্ধে কোন কার্য করিলে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদ তাঁহার বিরুদ্ধে যে কোন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবেন।
(খ) বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী সংসদের শাস্তিমূলক ব্যবস্থার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জাতীয় কমিটির নিকট প্রতিষ্ঠানের সাধারণ সম্পাদকের মাধ্যমে আপীল করা চলিবে এবং এইরূপ ক্ষেত্রে জাতীয় কমিটির সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে ।
(গ) আপীলের আবেদনপত্র সাধারণ সম্পাদক প্রাপ্তির রশিদ দিয়া গ্রহণ করিবেন এবং জাতীয় কমিটির নিকট পেশ করিতে বাধ্য থাকিবেন। অন্যথায় জাতীয় কমিটির যে কোন সদস্য সভাপতির অনুমতি লইয়া বিষয়টি বিবেচনা ও সে সম্পর্কে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য উত্থাপন করিত পারিবেন।
(ঘ) জাতীয় কমিটি সভা আহ্বানের নোটিশ দেওয়ার ৭ দিনের মধ্যে উক্ত আপীলের দরখাস্ত সাধারণ সম্পাদকের নিকট পেশ করিতে হইবে । সাধারণ সম্পাদক এইরূপ ক্ষেত্রে উক্ত বিষয়গুলি জাতীয় কমিটির কার্যসূচীভুক্ত করিতে বাধ্য থাকিবেন ।
(ঙ) শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে নোটিশ প্রাপ্তির ১৫ দিনের মধ্যে আত্মপক্ষ সমর্থন করিয়া উপযুক্ত কারণ দর্শাইবার জন্য সুযোগদানের উদ্দেশ্যে সাধারণ সম্পাদক পোষ্টাল রেজিষ্ট্রেশনযোগে নোটিশ দিতে বাধ্য থাকিবেন।
(চ) শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ প্রমাণিত হইলে অপরাধের গুরুত্ব অনুসারে যে কোনরূপ শাস্তি প্রদানের ক্ষমতা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী সংসদের থাকিবে।
(ছ) প্রতিষ্ঠানের কোন সদস্যের বিরুদ্ধে শৃংখলা ভঙ্গের অভিযোগে শাস্তি প্রদানের জন্য নিম্নতম যে কোন শাখা । আওয়ামী লীগের লিখিত অনুরোধপত্র পাওয়ার পর থানা আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী সংসদ নিজেদের সিদ্ধান্তসহ উক্ত অনুরোধপত্র জেলা কার্যনির্বাহী সংসদের নিকট পাঠাইবেন। জেলা কার্যনির্বাহী সংসদ এ সম্বন্ধে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিয়া উক্ত বিষয় বিবেচনা পূর্বক চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের মাধ্যমে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী সংসদের নিকট প্রেরণ করিবেন।
এছাড়া জেলা আওয়ামী লীগ স্ব কোন সদস্যের বিরুদ্ধে উপরোক্ত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের আবশ্যকতা বোধ করিলে জেলা কার্যনির্বাহী সংসদে সিদ্ধান্ত আপন করিয়া বিষয়টি বিবেচনা পূর্বক চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের মাধ্যমে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী সংসদের নিকট প্রেরণ করিবেন ।
(জ) প্রতিষ্ঠানের কোন সদস্যের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ ক্ষমতা একমাত্র বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহ সংসদের থাকিবে।
(ঝ) প্রত্যেক শাখা আওয়ামী লীগকে তাহার ঊর্ধ্বতন শাখার নিকট হইতে মঞ্জুরী গ্রহণ করিতে হইবে। ইহা ছাড়া আবশ্যকবোধে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী সংসদ যে কোন শাখাকে সরাসরি মঞ্জুরী প্রদান করিতে পারিবে।
(ঞ) কোন শাখা আওয়ামী লীগের মধ্যে প্রতিষ্ঠান সংক্রান্ত কোন গোলযোগ বা বিরোধ দেখা দিলে ঊর্ধ্বতন শাখা উ নিষ্পত্তি করিতে পারিবে । কিন্তু এই নিষ্পত্তির বিরুদ্ধে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী সংসদের নিকট আপীল করা চলিবে এবং সেই ক্ষেত্রে উহার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে ।
প্রাতিষ্ঠানিক নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল
৪৪। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী সংসদ প্রতিষ্ঠানের নির্বাচন সংক্রান্ত গোলযোগ নিষ্পত্তির জন্য একজন আহ্বায়ক সহ ৫ সদস্য সমবায়ে একটি ট্রাইব্যুনাল গঠন করিতে পারিবে এবং এই ট্রাইব্যুনালের উপর যে কোন ক্ষমতা ন্যস্ত করিতে পারিবে। এই ট্রাইব্যুনালের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কার্যনির্বাহী সংসদের নিকট আপীল করা চলিবে। কার্যনির্বাহী সংসদের সিদ্ধান্তই এ ব্যাপারে চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে ।
আওয়ামী লীগ তহবিল
৪৫। (ক) প্রত্যেক কাউন্সিলারের ১০.০০ টাকা হারে চাঁদা।
(খ) আইন সভা বা পরিষদে নির্বাচিত আওয়ামী লীগ দলভুক্ত প্রত্যেক সদস্যের মাসিক ২৫.০০ টাকা হারে চাঁদা
(গ) প্রত্যেক জেলার মঞ্জুরী ফী বাবদ ৫.০০ টাকা।
(ঘ) বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রচার দফতর কর্তৃক প্রকাশিত পত্র-পত্রিকা বিক্রয়লব্ধ অর্থ ।
(ঙ) এককালীন দান ।
(চ) সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ।
(ছ) সামাজিক অনুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ।
(জ) সাহায্য প্রদর্শনীর মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ।
(ঝ) প্রাথমিক সদস্য শ্ৰেণীভুক্ত হওয়ার জন্য দেয় বি-বার্ষিক চাঁদার অংশ ।
জিলা বা নগর আওয়ামী লীগ তহবিল
(ঞ) জিলা বা নগর আওয়ামী লীগ কাউন্সিল সদস্যদের প্রত্যেকের দ্বি-বার্ষিক ৫.০০ টাকা হারে চাঁদা
(ট) প্রত্যেক থানা বা পৌর এলাকার এবং নগর আওয়ামী লীগের অধীনস্থ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের মঞ্জুরী ফী বাবদ ১৫.০০ টাকা।
(ঠ) আইনসভার স্থানীয় আওয়ামী লীগ দলভুক্ত প্রত্যেক সদস্যের মাসিক ১৫.০০ টাকা হারে চাঁদা ।
(ড) এককালীন দান।
থানা আওয়ামী লীগ তহবিল
(ঢ) প্রত্যেক কাউন্সিলারের দ্বি-বার্ষিক ১.০০ টাকা হারে চাঁদা।
(ণ) প্রত্যেক ইউনিয়ন ও পৌর আওয়ামী লীগে মঞ্জুরী ফী বাবদ ২.০০ টাকা।
(ত) আইন সভার স্থানীয় আওয়ামী লীগ দলভুক্ত প্রত্যেক সদস্যের ২০.০০ টাকা হারে চাঁদা।
(থ) এককালীন দান
ইউনিয়ন বা পৌর এবং মহানগরের অন্তর্গত ইউনিট আওয়ামী লীগ তহবিল
(দ) কর্মকর্তা ও কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্যদের প্রত্যেকের দ্বি-বার্ষিক ১.০০ টাকা হারে চাঁদা ।
(ধ) এককালীন দান ।
আওয়ামী লীগ সংসদীয় পার্টি তহবিল
(ন) ২৫(৩) উপধারা অনুযায়ী সংসদীয় পার্টির প্রত্যেক সদস্যের মাসিক ৫.০০ টাকা চাঁদা ।
(প) সদস্যের এককালীন দান ।
৪৬। আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্য শ্রেণীভুক্ত হওয়ার জন্য দেয় বি-বার্ষিক ২.০০ টাকা চাঁদা নিম্নোক্ত হারে বিভিন্ন শাখার মধ্যে ভাগ করা হইবে
(ক) প্রাথমিক ইউনিট ১.০০ টাকা ।
(খ) থানা-৪০ পয়সা।
(গ) জেলা-৪০ পয়সা।
(ঘ) বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ২০ পয়সা।
(ঙ) মহানগরী বা নগরের অন্তর্গত কোন থানা আওয়ামী লীগ না থাকায় উপরোক্ত ২.০০ টাকা চাঁদার ১.০০ টাকা ইউনিট আওয়ামী লীগ, ৬০ পয়সা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, ২০ পয়সা মহানগরী বা নগর আওয়ামী লীগ এবং অবশিষ্ট ২০ পয়সা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ পাইবে ।

আওয়ামী লীগ তহবিল পরিচালনা
৪৭। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় জেলা, ঢাকা মহানগরী বা নগর, থানা, ইউনিয়ন বা পৌর মহানগরী বা নগরের ইউনিট দিয়া সকল চাঁদা বা দান গ্রহণ করিবেন এবং আয়ব্যয়ের হিসাব রাখিবেন আদায়কৃত অর্থ বাংলাদেশের যে কোন তফসিলভুক্ত ব্যাঙ্কে জমা রাখা হইবে। ব্যাঙ্কে গচ্ছিত অর্থ নিজ নিজ শাখার সাধারণ সম্পাদক ও কোষাধ্যক্ষ্যের যুক্ত স্বাক্ষরে উঠানো যাইবে। দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনের সময় সকল সাধারণ সম্পাদক তাহাদের নিজ নিজ শাখার আয়-ব্যয়ের হিসাব অগ্রে অডিট করাইয়া দাখিল ও প্রকাশ করিবেন।
বিবিধ বিধান
৪৮ । জেলা, মহানগরী, নগর, থানা, শহর, পৌর ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ বৎসরে অন্ততঃ দুইবার কাউন্সিল অধিবেশন আহ্বান করিবে। ইহা ছাড়া এক তৃতীয়াংশ সদস্যের লিখিত রিকুইজিশনপত্র সাধারণ সম্পাদকের নিকট পেশ করার ৩০ দিনের মধ্যে সাধারণ সম্পাদক অধিবেশন আহ্বান করিতে বাধ্য থাকিবেন। অন্যথায় ১৫(খ) ধারা অনুসারে রিকুইজিশনকারী সদস্যগণ ব্যবস্থা অবলম্বন করিতে পারিবেন ।
৪৯। জেলা, মহানগরী, নগর, থানা, শহর, পৌর ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী সংসদের সভা অন্তত। মাসে একবার আহবান করিতে হইবে। ইহা ছাড়া ১০ জন সদস্যের স্বাক্ষরযুক্ত রিকুইজিশনপত্র প্রাপ্তির ১০ দিে মধ্যে সাধারণ সম্পাদক সভা আহ্বান করিতে বাধ্য থাকিবেন। অন্যথায় রিকুইজিশনকারী সদস্যগণ ৪৯ ধারায় ২৫ কর্মপন্থা অবলম্বন করিতে পারিবেন।
৫০ । বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী সংসদের সভা আহবানের জন্য ২১ জন সদস্যের রিকুইজিশনপত্র প্রতি ১০ দিনের মধ্যে সাধারণ সম্পাদক কার্যনির্বাহী সংসদের সভা আহ্বান করিতে বাধ্য থাকিবেন। সাধারণ স ছাড়াও রিকুইজিশনপত্রের এক কপি প্রতিষ্ঠানের সভাপতির নিকট প্রদান করিতে হইবে। রিকুইজিশনপত্র প্রাপ্তির দিনের মধ্যে সাধারণ সম্পাদক বা সভাপতি সভা আহ্বান না করিলে রিকুইজিশনকারী সদস্যগণ নিজেরাই ৭ দিনে নোটিশ প্রদান করিয়া সভা আহ্বান করিতে পারিবেন।
৫১। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দ্বিবার্ষিক নির্বাচনের পর হইতে পরবর্তী নির্বাচনকা সময়ের মধ্যে কোন সরকারী পদ গ্রহণ করতে পারিবে না।
এতন্ত্রির রাষ্ট্রপ্রধান, রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার, ডেপু হাইকমিশনার, ট্রেড কমিশনার, কনসাল, আইন সভার সভাপতি বা সহ-সভাপতি, মন্ত্রী, ষ্টেটমন্ত্রী, ডেপুটি মধু পার্লামেন্টারী সেক্রেটারী, পলিটিক্যাল সেক্রেটারী, সরকারী দলের চীফ হুইপ, এডভোকেট জেনারেল বা উ পদসমূহের অনুরূপ কোন সরকারী চাকুরী বা পদ গ্রহণের পর প্রতিষ্ঠানের কোন সদস্য গঠনতন্ত্রের ৫, ২৯, ৩৪ ও ৩ ধারায় বর্ণিত কোন কর্মকর্তা থাকিতে পারিবেন না।
আওয়ামী লীগের কোন কর্মকর্তা যদি উপরোক্ত পদসমূহের কেন একটি গ্রহণ করেন তবে উক্ত পদপ্রাপ্তির এক মাসের মধ্যে তিনি আওয়ামী লীগ কর্মকর্তার পদ ত্যাগ করিয়া সংশ্লি কর্তৃপক্ষের নিকট তাহার দায়িত্বভার বুঝাইয়া দিবেন। অন্যথায় এক মাস পরে উক্ত কর্মকর্তার প্রতিষ্ঠানের আপনাআপনি শূন্য বলিয়া গণ্য হইবে ।
৫২। আওয়ামী লীগের কোন সদস্য অন্য কোন রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের সদস্য হইতে পারিবেন না কিংবা অন্য কোন রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের সহিত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী সংসদের অনুমতি ছাড়া কোনরূপ রাজনৈতির সম্পর্ক রাখিতে পারিবেন না। যদি কোন সদস্য উপরি উক্ত বিধান লংঘন করেন তা হইলে তার সদস্য পদ বাতিল বলিয়া গণ্য হইবে ।
৫৩। অন্য কোন রাজনৈতিক দলের কোন ভূতপূর্ব বা বর্তমান সদস্য আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্য শ্রেণীভূক্ত হইতে চাহিলে তিনি তাঁহার নিজের জেলার জেলা আওয়ামী লীগের অনুমতি চাহিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের নিকট পত্র দিবেন।
সংশ্লিষ্ট জেলা আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী সংসদের অনুমতি ছাড়া উপরোক্তরূপ কোন ব্যক্তিকে আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্য শ্রেণীভুক্ত করা যাইবে না। তবে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী সংসদের সিদ্ধান্ত উপরোক্ত ব্যক্তির মনঃপুত না হইলে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী সংসদের নিকট উ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আবেদন করিতে পারিবেন এবং এই ব্যাপারে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী সংসদের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী সংসদ ইচ্ছা করিলে সরাসরিভাবেও যে কোন ব্যক্তিকে প্রাথমিক সদস্য শ্রেণীভুক্ত হইবার অনুমতি নিতে পারিবে। কিন্তু প্রত্যেক অবস্থায়ই নবাগত সদস্যগণ দুই বৎসরের মধ্যে আওয়ামী লীগের কোন কর্মকর্তার পদ গ্রহণ করিতে পারিবেন না।
৫৪। (ক) বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যে কোন কর্মকর্তা বা কার্যনির্বাহী সংসদ সদস্য এবং আওয়ামী লীগ পরিষদ দলের যে কোন সদস্য আওয়ামী লীগের নিম্নতম যে কোন শাখার যে কোন সভা বা অধিবেশনে যোগদান করিয়া আলোচনায় অংশগ্রহণ করিতে পারিবেন কিন্তু ভোট দিতে পারিবেন না।
(খ) প্রত্যেক জেলা, মহানগরী, নগর, থানা, পৌর বা শহর আওয়ামী লীগের যে কোন কর্মকর্তা অথবা কার্যনির্ব সংসদ সদস্য নিম্নতম যে কোন শাখার যে কোন সভা বা অধিবেশনে যোগদান করিয়া আলোচনায় অংশগ্রহণ করিতে পারিবেন, কিন্তু ভোট দিতে পারিবেন না।
৫৫ । অত্র গঠনতন্ত্রে যেসব বিষয়ের উল্লেখ নাই সেসব বিষয়ে উদ্ভুত সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী সংসদ বা জাতীয় কমিটির থাকিবে ।
৫৬। (ক) বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কাউন্সিলের নির্বাচন, বার্ষিক বা বিশেষ অধিবেশনে অনুমতি সাপেক্ষে উপস্থিত তাহার অংশ বিশেষ সদস্যদের দুই-তৃতীয়াংশের জোটাধিক্যে অত্র গঠনতন্ত্রের বিধানসমূহ যা যে কোন বিধান বা পরিবর্তন, পরিবর্ধন বা সংশোধন করা চলিবে ।
(খ) গঠনতন্ত্র পরিবর্তন, পরিবর্ধন বা সংশোধন করিবার উদ্দেশ্যেই যদি কাউন্সিল সভা আহবান করা হয় তবে উপস্থিত সদস্যদের সংখ্যাধিক্যের ভোটে উহা করা চলিবে।
(গ) কাউন্সিলের নির্বাচনী সাধারণ বা বিশেষ অধিবেশনকে উপরোক্ত (খ) উপধারায় উল্লেখিত কাউন্সিল হিসাবে গণ্য করিতে হইলে কাউন্সিল অধিবেশন আহ্বানের নোটিশে উক্ত বিষয় কর্মসূচীর অন্তর্ভুক্ত করিতে হইবে।
৫৭। নির্বাচন পরিচালনা কমিটি- একজন চেয়ারম্যান ও দুইজন সদস্য সমন্বয়ে একটি নির্বাচন কমিশন সংগঠনের প্রত্যেকটি স্তরে । (টায়ারে) কাউন্সিল কর্তৃক নির্বাচিত হইবে। কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্যময় নিজেদের নির্বাচনী এলাকায় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করিতে পারিবেন না । নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি লইয়া কমিশন সর্বদা কাজ করিবে ।
৫৮ । আওয়ামী লীগের কোন সদস্য একযোগে ইউনিয়ন, থানা, জেলা বা কেন্দ্রীয় কমিটির কর্মকর্তার পদ গ্রহণ করিতে পারিবেন না । যে কোন একটি স্তরেই কেবলমাত্র কর্মকর্তা থাকা যাবেই। “৫৯ । অত্র সহ সংশোধিত ধারাগুলিই সর্বক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে । অর সহ সংশোধিত ধারাগুলির সহিত অসামঞ্জস্য বা পরিপন্থী বাতিল ও ফলহীন গণ্য হইবে।”
আরও দেখুনঃ