Site icon History Gurukul [ ইতিহাস গুরুকুল ] GDCN

আকবরের জন্ম | প্রারম্ভিক জীবন | আকবর

আকবরের জন্ম | প্রারম্ভিক জীবন | আকবর

আকবরের জন্ম , আকবরের জন্ম ১৫৪২ খ্রিস্টাব্দের ২৮শে ডিসেম্বর পশ্চিম পাকিস্তানের অমরকোটে। আজকাল বহু মানুষ অমরকোটকে উমরকোট ভেবে ভুল করেন। বস্তুত এই অঞ্চল রাজস্থানের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল। আজও সেখানে হিন্দু রাজপুতের সংখ্যা বেশি। মরুভূমি ও সিন্ধুর সীমার অবস্থান হওয়ার কারণে ইংরেজরা সেটাকে সিন্ধুর সঙ্গে জুড়ে দেন, দেশ-বিভাগের পরে তা পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত হয় ।

আকবরের জন্ম | প্রারম্ভিক জীবন | আকবর

 

বাবর বাইশ বছর বয়সে (১৫০৪ খ্রিঃ) কাবুলে তাঁর রাজ্য স্থাপন করেন। মধ্য- এশিয়ায় পিতা-পিতামহের রাজ্য উজবেক শয়বানিয়াদের হাত থেকে পুনরুদ্ধারের আশা না থাকায় বাইশ বছর পর তিনি পূর্বদিকে অগ্রসর হওয়ার কথা বিবেচনা করেন। ১৫২৬ খ্রিস্টাব্দের ২১শে এপ্রিল দিল্লীর পাঠান সুলতান ইব্রাহিম লোদিকে পরাজিত করে ভারতের বাদশাহ হন।

তবে তাঁর স্থায়িত্ব সুদৃঢ় হয়নি যতক্ষণ না তিনি ১৫২৭ খ্রিস্টাব্দের ১৬ই মার্চ খানুয়ায় (সিক্রী থেকে কয়েক মাইল দূরবর্তী) রাণা সাঁগার (সংগ্রামসিংহের) অধীনে সংগ্রাম-রত রাজপুতদের পরাজিত করেন। গঙ্গা ও সরযূর সঙ্গমস্থলে (বালিয়া জেলা) ১৫২৯ খ্রিস্টাব্দের মে মাসে আরও একটি যুদ্ধ করতে হয় তাঁকে, তারপর উত্তর ভারতের বৃহদংশে তাঁর আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হয়। বাবর খুব বেশি দিন রাজ্যভোগ করতে পারেননি। ১৫৩০ খ্রিস্টাব্দের ২৬শে ডিসেম্বর তিনি আটচল্লিশ বছর বয়সে প্রাণত্যাগ করেন ।

গোরী’ ও তাঁর সেনাপতি কুতুবুদ্দীন অয়বক খুব দ্রুত দিল্লীকে মুসলিম ভারতের রাজধানীতে পরিণত করেছিলেন। তখন থেকে তুগলক-লোদিদের সময় পর্যন্ত দিল্লীই রাজধানী ছিল। পরে মনে হয়, রাজধানীর জন্য দিল্লী অপেক্ষা আগরা অধিক উপযুক্ত, সেখানে সেনা-ছাউনি স্থাপন করে উত্তর-দক্ষিণ-পূর্ব-পশ্চিম চারদিকে আক্রমণ করা এবং প্রতিরক্ষা-ব্যবস্থা গড়ে তোলা বেশি সুবিধাজনক।

সেজন্য বাবর আগরাকে আরও একটি রাজধানী করেছিলেন এবং সেখানেই তার মৃত্যু হয়। শেরশাহের শূরী বংশের ও রাজধানী ছিল আগরা। আকবরের আমলেও তার পুনরাবৃত্তি হয় । বাবরের চার পুত্র— হুমায়ূন, কামরান, হিন্দাল ও আকরী। 

সর্বজ্যেষ্ঠ হুমায়ূন পিতার মৃত্যুর পর (২৬শে ডিসেম্বর, ১৫৩০) দিল্লীর তখতে বসেন। এমনিতে হুমায়ূন অযোগ্য ছিলেন না, কিন্তু আফিম তাঁর বোধ-বুদ্ধির সর্বনাশ করেছিল। তাঁর ভ্রাতা চাইছিলেন সিংহাসনে বসতে। অল্প কিছুদিন আগেই দিল্লীতে তাদের শাসনক্ষমতা ছিল, পাঠানরা সে কথা ভুলতে পারেনি।

দিল্লীর আশপাশে পাঠানদের দমন করা হলেও পূর্বদিকে তা সম্ভব হয়নি। ভারতের সমস্ত পাঠানই আফগান নয়। পূর্বের রাজপুত ভূমিহারের মতো জাতিগুলি মুসলমান হয়ে পাঠানে পরিণত হয়েছিল, তাতে পাঠানদের জনবল বেড়েছিল। জৌনপুরের সুলতানির সঙ্গে শেরশাহের পিতার সম্পর্ক ছিল। শেরশাহের শৈশব কেটেছিল সেখানেই।

সেখানে থাকতেই তাঁর অভিজ্ঞতা হয়েছিল, কিভাবে হিন্দুদের সহায়তায় জৌনপুর দিল্লী থেকে স্বতন্ত্র হয়ে সুদৃঢ় শর্কী সুলতানি কায়েম করেছে। তিনি লক্ষ্য করেছিলেন : ধর্মীয় সংস্কারের শক্তিতে দিল্লীকে নত করা যাবে না, কারণ ধর্মীয় পাণ্ডারা দিল্লীর সুলতানকে ছেড়ে অপর কাউকে সমর্থন করতে আগ্রহী নয়। যদি ধর্মান্ধতা ত্যাগ করা হয় এবং হিন্দুদের সঙ্গে সৌভ্রাতৃত্ব স্থাপন করা হয়, তাহলে সাফল্য লাভ করা সম্ভব। আকবর প্রথম থেকেই শেরশাহের সেই নীতিতে সাফল্যের সঙ্গে আত্মস্থ করেন।

হুমায়ূন কোনোরকমে নয় বছর শাসনকার্য পরিচালনা করতে পেরেছিলেন। ১৫৩৯ খ্রিস্টাব্দের ২৬শে জুন চৌসায় (জেলা শাহবাদ) শের খাঁর (শেরশাহের) হাতে তাঁকে মারাত্মক পরাজয় স্বীকার করতে হয়। চৌসা আজ ঐতিহাসিক যুদ্ধের জন্য যতটা প্রসিদ্ধ নয়, তার চেয়ে বেশি প্রসিদ্ধ তার সুস্বাদু আমের জন্য।

চৌসার পরাজয়ের পর কনৌজে হুমায়ূন পুনরায় ভাগ্যপরীক্ষা করেন, কিন্তু শেরশাহ ১৫৪০ খ্রিস্টাব্দের ১৭ই মে তাঁর চেয়ে কয়েক গুণ বেশি সৈন্যকে পরাজিত করে দেন। হুমায়ূন পশ্চিমে পলায়ন করেন। তিনি বহুদিন যাবৎ রাজস্থানের মরুভূমিতে ছোটাছুটি করেন, কিন্তু কোথাও কোনো সাহায্য পাননি।

 

 

এই সময়েই হামিদা বানুর সঙ্গে তাঁর পরিচয় হন। বানুর পিতা শেখ আলী আকবর জামী মীর বাবা তাঁর বন্ধু হুমায়ূনের অনুজ হিন্দালের গুরু ছিলেন। পূর্বেই হামিদার বাগদান সম্পন্ন হয়েছিল, এখন হুমায়ূন হিংসাসনচ্যুত, তবুও তো তিনি বাদশাহ ছিলেন। তাই ১৫৪১ খ্রিস্টাব্দের শেষে কিংবা ১৫৪২ খ্রিস্টাব্দের গোড়ায় সিন্ধুর পাতে চোদ্দ বছর বয়স্কা হামিদার সঙ্গে হুমায়ূন পরিণয়-সূত্রে আবদ্ধ হন।

পরবর্তীকালে এই হামিদা বানু মরিয়ম মাকানী নামে প্রসিদ্ধ হন এবং তাঁর পুত্র আকবরের মৃত্যুর এক বছর আগে (২৯শে আগস্ট, ১৬০৪ খ্রিঃ) তাঁর মৃত্যু হয়। তখন কি কেউ জানত, হুমায়ূনের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটবে, হামিদার গর্ভে আকবরের মতো অদ্বিতীয় পুত্রের জন্ম হবে!১৫৪২ খ্রিস্টাব্দের আগস্টে হুমায়ূন সাত অশ্বারোহী সঙ্গে নিয়ে অমরকোট পৌঁছান  অমরকোট (থরপাকর জেলার সদর) মরুভূমির মধ্য দিয়ে সিন্ধু যাওয়ার পথে মরুভূমির শেষ প্রান্তে খটখটে পাহাড়ে অবস্থিত। অমরকোটের রানা পরশাদ আন্তরিকতার সঙ্গে হুমায়ূনকে স্বাগত জানান।

তিনি তাঁর জাতির দুই হাজার ও অন্যান্য আরও তিন হাজার সৈন্য হুমায়ূনের জন্য সংগ্রহ করে দিলেন। হুমায়ূন যুদ্ধযাত্রার জন্য প্রস্তুতি শুরু করলেন। আকবর তখন হামিদা বানুর গর্ভে। দুই-তিন হাজার অশ্বারোহী। সৈন্য নিয়ে ২০শে নভেম্বর হুমায়ূন ঠট্টাভক্কর জেলা আক্রমণ করতে যান।

অমরকোট থেকে কুড়ি মাইল দূরে একটি পৃষ্করিণীর ধারে তিনি ডেরা গাড়েন। সেখানেই তদিবেগ কয়েকজন ঘোড়সওয়ারের সঙ্গে দৌড়ে এসে যুবরাজের জন্মের সুসংবাদ দান করেন। শিশুর জন্ম হয়েছিল পুর্ণিমায় (১৪ই শাবান, ৯৪৯ হিঃ, তদনুযায়ী ২৩শে নভেম্বর, ১৫৪২ খ্রিঃ, বৃহস্পতিবার), সেজন্য বদর (পূর্ণচন্দ্র) শব্দ জুড়ে নাম রাখা হয় বদরুদ্দীন মুহম্মদ আকবর।

হজরত মুহম্মদের জামাতা আলীকে বলা হতো মুহম্মদ আকবর, সম্ভবত সে কথা মাথায় রেখেই শিশুর নামের সঙ্গে আকবর যুক্ত করা হয়। হুমায়ূনের অবস্থা তখন এমন নয় যে শিশুর জন্মোৎসব যথাযথভাবে পালন করেন। প্রভুর সকল সঙ্কট-মুহূর্তের সঙ্গী হয়ে থাকা জওহর, আকবরের আমলেই খুব বৃদ্ধ হয়ে প্রাণত্যাগ করেন। তিনি লিখেছেন —

“বাদশাহ এই স্মৃতিকথার লেখককে হুকুম করেন— যেসব বস্তু তোমাকে রাখতে দিয়েছিলাম, সেগুলো নিয়ে এস। আমি গিয়ে শত শাহরুখদী (টাকা), একটা রূপোর বালা এবং দু’দানা কস্তুরী (মৃগনাভি) নিয়ে এলাম। প্রথম দু’টি বস্তু তার মালিকদের ফিরিয়ে দেওয়ার অদেশ দিলেন।…

তারপর একটা চীনেমাটির পিরিচ আনালেন। তাতে কস্তুরী গুঁড়ো করে রাখলেন এবং উপস্থিত ব্যক্তিদের মধ্যে বণ্টন করতে করতে বললেন— আমার পুত্রের জন্মদিন উপলক্ষ্যে আপনাদের উপহার দেওয়ার জন্য আমার কাছে কেবল এই আছে। আমার বিশ্বাস, এখানে এই কস্তুরী যেমন সুগন্ধ ছড়াচ্ছে, তেমনি একদিন তার কীর্তি সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়বে।” ঢোল ইত্যাদি বাজনা সুসংবাদ ঘোষণা করা হয় ৷

সেখান থেকে নিজের লোকজন সঙ্গে নিয়ে হুমায়ূন একটা ছোট শহর জুনে গিয়ে উপস্থিত হন, সেটা অমরকোট থেকে পঁয়ত্রিশ মাইল দূরে অবস্থিত। সেটাকে দখল করে সেখানেই ঘাঁটি গাড়েন তিনি। ইতিমধ্যে রমজানের রোজা শুরু হয়ে যায়। শিশু- সহ হামিদা বানুকে অমরকোট থেকে নিয়ে আসার জন্য লোক পাঠানো হয়।

তিনি ধীরে ধীরে পথ অতিক্রম করে ২০শে রমজান (২৮শে ডিসেম্বর) জুন পৌছান। তখন শিশুর বয়স চৌত্রিশ দিন। হুমায়ূন সেখানেই ১৫৪৩ খ্রিস্টাব্দের ১১ই জুলাই পর্যন্ত থাকেন। তাঁর আশা ছিল, হয়তো সহযোগিতা লাভ করে তিনি তাঁর হৃত রাজ্য পুনরুদ্ধার করতে পারবেন, কিন্তু যেসব লোক তাঁর সঙ্গে ছিল, তাদের অনেকেই তাঁর সঙ্গত্যাগ করে চলে যায়। ভারতের দিকে হতাশ হয়ে তাঁর নজর পড়ে ইরানের দিকে।

বাবর যখন তাঁর জন্মভূমি ও সিংহাসন থেকে বঞ্চিত হন, তখন ইরানের শাহ ইসমাইল তাঁকে অনেক সাহায্য করেন এবং একবার তিনি কয়েক মাসের জন্য সমকন্দের ততে বসতেও সমর্থ হয়েছিলেন । হুমায়ূন ভাবলেন, ইসমাইলের পুত্র তহমাস্প সম্ভবত তাঁকে এ সময় সাহায্য করবেন।

শাহ ইসমাইল ইরানে একটি শক্তিশালী সুলতানাৎ কায়েম করে শিয়া ধর্মকে ইরানের রাষ্ট্রীয় ধর্ম ঘোষণা করেন। ইরানীর মতো প্রাচীন ও সুসভ্য জাতি আরবদের অনর্থক তোষণ করতে আগ্রহী ছিল না। তারা মাঝে মাঝেই তাদের স্বাতন্ত্র্য প্রদর্শন করত। ইসমাইল বুঝতে পারেন, যতদিন ধর্ম বিষয়ে আরবদের একাধিপত্য মেনে নেওয়া হবে, ততক্ষণ তাদের কোনো আশা নেই। ইরানী মস্তিষ্ক ভেবে দেখলেন, আলী । তাঁর সন্তান হাসান-হুসেনকে সামনে রেখেই তারা জাতীয় সম্মান বৃদ্ধি করতে পারবেন।

শেষ সাসানী শাহানশাহ ইয়াজদগর্দের শাহজাদীদের সঙ্গে হাসান-হুসেনের বিবাহ হয়েছিল। পয়গম্বরের প্রিয় কন্যা ফাতিমার পুত্ররা সেই শাহজাদীদের পূর্বেই কালগ্রাসে পতিত হন। ইরানীদের আত্মাভিমান ছিল যে আলীর সন্তান-সন্ততিদের সঙ্গে তাঁদেরও রক্ত-সম্পর্ক রয়েছে।

ইরানীরা তো আজকাল এমন কথা বলতেও শুরু করেছেন যে কুরানও এক ইরানীর মস্তিষ্ক-প্রসূত। পয়গম্বরের সময় তাঁর বিরোধীরা অভিযোগ করতেন: মুহম্মদের উপর আল্লার নিকট থেকে কোনো আয়ত্ অবতীর্ণ হয়নি, বরং সেগুলো রচনা করেছেন একজন বিদেশী— ইরানী। ইসমাইলের রাজবংশকে শাফি-ঈ বংশ বলা হতো। তাঁর পূর্বপুরুষ একজন শিয়া ধর্মীয় নেতা ছিলেন, তাঁর অষ্টম পুরুষ হলেন ইসমাইল: শাফি-ঈ— সদরুদ্দীন— আলীখাজা— ইব্রাহিম— সুলতান শেখ সদরুদ্দীন— সুলতান জুনিদা— সুলতান হায়দর— শাহ ইসমাইল— শাহ তহমাস্প ।

তহমাম্পের সাহায্যলাভের আশায় হুমায়ূন কন্দাহারের দিকে যাত্রা করেন। খুব কষ্টে সেহওয়ান পর্যন্ত পৌঁছে তিনি সিন্ধু নদ অতিক্রম করেন, তারপর বালোচিস্তানের পথে কওয়েটার দক্ষিণে কন্দাহারের সীমান্তে অবস্থিত মরতঙ্গে পৌছান। সে-সময় সেখানে তাঁর কনিষ্ঠ ভ্রাতা আসকরী মির্জা তাঁর ভ্রাতা কাবুলের শাসক কামরানের পক্ষ থেকে শাসনকার্য পরিচালনা করছিলেন। হুমায়ূন খবর পান, আসকরী আক্রমণ করে তাঁকে বন্দী করতে চান। আক্রমণের মোকাবিলা করার লোকজন নেই।

এতটুকু বিলম্ব করলে সমূহ বিপদের আশঙ্কা। তাঁর কাছে ঘোড়ার সংখ্যাও কম। তিনি তর্দিবেগের কাছে ঘোড়া চাইলেন, কিন্তু তিনি তাতে রাজি হলেন না। হুমায়ূন ঘোড়ায় হামিদা বানুকে নিজের পিছনে বসিয়ে পাহাড়ের দিকে পলায়ন করেন। তাঁর চলে যাওয়ার অব্যবহিত পরেই সেখানে দুই হাজার অশ্বারোহী সৈন্য-সহ আসকরী এসে হাজির হন। হুমায়ূন বছরখানেকের শিশু আকবরকে সঙ্গে নিয়ে যেতে সমর্থ হননি।

তাঁকে সেই ঘাঁটিতেই ফেলে রেখে পালাতে হয়। আসকরী ভ্রাতুষ্পুত্রের উপর ক্রোধ প্রকাশ করেননি, জওহর প্রভৃতির সঙ্গে তাঁকেও সযত্নে কন্দাহারে নিয়ে যান। কন্দাহারে আসকরীর পত্নী সুলতান বেগম সস্নেহে তাঁকে নিজের কোলে তুলে নেন ৷

 

 

হুমায়ূন তাঁর পত্নী ও অল্প কয়েকজন লোক নিয়ে শুকনো খটখটে পাহাড় ও ধু-ধু মরুভূমি মাড়িয়ে সিস্তানে পৌছান। কজয়িনে (তেহরানের উত্তর-পূর্বে সামান্য দূরবর্তী) শাহ স্বয়ং এসে তাঁর অতিথিকে সুস্বাগত জানান। যে-আশা নিয়ে হুমায়ূনের সেখানে আগমন, তা পূরণ হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিল তাঁর কাছে। তবে হ্যাঁ, তহমাস্প তাঁকে শিয়া হওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। হুমায়ূন শিয়া হন, কিন্তু ভারতে আসার পর তিনি শিয়া থাকতে পারেনি, কারণ তাঁর আমিরেরা শিয়া-বিরোধী ছিলেন এবং বৈরাম খা ও অন্যান্য শিয়া আমিরও উপর-উপর সুন্নী সেজে থাকতেন । 

আরও দেখুনঃ

Exit mobile version