আবুল ফজলের সন্তান-সন্ততি | আবুল ফজল | আকবর

আবুল ফজলের সন্তান-সন্ততি, আবুল ফজলের তিন পত্নী ছিলেন। প্রথম পত্নী ভারতীয়, পিতা-মাতার উদ্যোগেই আবুল- ফজল তাঁর সঙ্গে পরিণয়-সূত্রে আবদ্ধ হন। দ্বিতীয় পত্নী কাশ্মীরী, কাশ্মীর ভ্রমণকালেই তাঁর সঙ্গে পরিচয় হয়।

আবুল ফজলের সন্তান-সন্ততি | আবুল ফজল | আকবর

 

আবুল ফজলের সন্তান-সন্ততি | আবুল ফজল | আকবর

 

তৃতীয় পত্নী ইরানী, তাঁর প্রয়োজনীয়তা বিষয়ে আজাদ লিখেছেন— “কেবল ভাষার বিশুদ্ধতা ও ভাষাগত বৈশিষ্ট্য অনুধাবনের তাগিদেই সম্ভবত এই তৃতীয় দার-পরিগ্রহ। আবুল -ফজলের কাজ ছিল ফারসি ভাষার লেখালেখি । লিখিত ভাষা যাচাই করে নেওয়ার প্রয়োজন হতো। ভাষার এমন কত শত বৈশিষ্ট্য থাকে, সেই ভাষা-অঞ্চলের মানুষের আপনা থেকেই তা আয়ত্তে আসে।

তাতে প্রশ্ন করারও কিছু থাকে না, উত্তর দেওয়ারও কিছু থাকে না। ভাষাভাষী তা এমনিই বলে যায় ।… এটা তো নিশ্চিত, নিজের মাতৃভাষার মাধ্যমে কোনো বিষয় মানুষ যতটা জানতে পারে, বইপত্র পড়ে সে-বিষয়ে ততটা জানতে পারে না। ইরানী পত্নীর মাতৃভাষা এক্ষেত্রে সহায়ক হয়ে থাকবে।”

 

আবুল ফজলের সন্তান-সন্ততি | আবুল ফজল | আকবর

 

রাজ্য শাসনের জন্য আকবর আমলাতন্ত্র চালু করেন এবং প্রদেশগুলোকে স্বায়ত্বশাসন দান করেন। আকবরের আমলাতন্ত্র বিশ্বের সবথেকে ফলপ্রসূ আমলাতন্ত্রের মধ্যে অন্যতম। তিনি প্রত্যেক অঞ্চলে সামরিক শাসক নিয়োগ দেন। প্রত্যেক শাসক স্বশাসিত প্রদেশের সেনাবাহিনীর দায়িত্বে ছিলেন। সম্রাট আকবর শাসিত সাম্রাজ্যে ক্ষমতার অপব্যবহারের শাস্তি ছিল একমাত্র মৃত্যুদন্ড।

 

আবুল ফজলের সন্তান-সন্ততি | আবুল ফজল | আকবর

 

আবুল -ফজলের একমাত্র পুত্র আব্দুর রহমান। যদিও জাহাঙ্গির তাঁর পিতাকে নৃশংসভাবে হত্যা করিয়েছিলেন, তবুও তাঁর পুত্রের উপর জাহাঙ্গিরের ক্রোধ ছিল না। তিনি আব্দুর রহমানকে দু’হাজারী মনসব ও ‘আফজল খাঁ’ পদবি দান করেছিলেন। সিংহাসন-লাভের তৃতীয় বছরে তিনি তাঁর মাতুল ইসলাম খাঁর জায়গায় আব্দুর রহমানকে বিহারের সুবেদার নিয়োগ করেন ও গোরখপুর জায়গির দান করেন। আব্দুর রহমান পাটনায় থাকতেন। পিতার মৃত্যুর এগারো বছর পরে তাঁর মৃত্যু হয় । তাঁর পুত্র পশোতনকেও জাহাঙ্গির মনসব দিয়েছিলেন এবং শাহজাহানের আমলে তিনি একজন বড় আমির ছিলেন ।

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment