মৌলিক গ্রন্থ – নিয়ে আজকের আলোচনা। এই পাঠটি “আকবর” বিষয়ের “শিল্প ও সাহিত্য” বিভাগের একটি পাঠ।
মৌলিক গ্রন্থ
১. আকবরনামা— দ্রঃ পূর্বার্ধ, আবুল ফজল অধ্যায় ।
২. আইনে আকবরী- ঐ
৩. কশকোল – ঐ
৪. কিতাবুল্ আহাদীস— পয়গম্বর মুহম্মদের সূক্তিকে হাদীস বলা হয়। আলোচ্য গ্রন্থটি পয়গম্বরের সৃক্তি-সংকলন, মোল্লা বদায়ূনী এটি লিখে ৯৮৬ হিজরীতে (১৫৭৮-৭৯ খ্রিঃ) আকবরকে উপহার দেন। সম্ভবত চাকরি গ্রহণ করার আগে (৯৭৬ হিঃ) বদায়ূনী এটি লেখেন ।
৫. খায়রুল-বয়ান— এর অর্থ সুবচন। পুস্তকখানি রচনা করেন কবি পীর রোশনাঈ, তাঁকে পীর তারিকীও (অন্ধকার গুরু) বলা হতো। মোল্লা বদায়ূনীর মতে, “তিনি আফগানদের কাছে গিয়ে অনেক নির্বোধকে চেলা বানান এবং অধার্মিকতা ও মন্দ আচার- বিচারে তাদের প্রভাবিত করেন।”
৬. জামে’অ-রশিদী— দ্রঃ পূর্বার্ধ, মোল্লা বদায়ূনী অধ্যায় ।
৭. জ্যোতিষ— এই ফলিত জ্যোতিষ পুস্তকখানি আব্দুর রহীম খানখানা পদ্যবন্ধে রচনা করেন । এর প্রত্যেকটি পদ্যে রয়েছে এক চরণ ফারসি ও এক চরণ সংস্কৃত।
৮. তবকাত-আকবরশাহী — এই গ্রন্থটিকে ‘তবকাত আকবরী’ ও ‘তারিখ নিজামী’ও বলা হয় । খাজা নিজামুদ্দীন আহমদ (মৃত্যু: লাহৌর, অক্টোবর, ১৫৯৪) এই গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাস-গ্রন্থে আকবরের ৩৯-তম রাজ্যবর্ষ (১৫৯৩-৯৪ খ্রিঃ) পর্যন্ত ঘটনাবলী বর্ণনা করেছেন। বদায়ূনী তাঁর গোপন ইতিহাস রচনার সময় এ গ্রন্থের প্রচুর সাহায্য নিয়েছিলেন।
৯. তারিখ আলফী— দ্রঃ পূর্বার্ধ, মোল্লা বদায়ূনী অধ্যায় ।
১০. নজাতুর্-রশীদ ঐ
১১. নল-দমন— দ্রঃ পূর্বার্ধ, কবিরাজ ফৈজী অধ্যায় ।
১২. মার্কজে-আদওয়ার-ঐ
১৩. মওয়ারদুল্ কলম—ঐ
১৪. সমরাতুল্-ফিলাসফা— দর্শনফল বা দর্শনসার নামক এই পুস্তক কাসিম-পুত্র আব্দুস সাত্তার কর্তৃক কোনো একটি পোর্তুগিজ গ্রন্থের স্বচ্ছন্দ অনুবাদ ।
১৫. সওয়াতে উল্-অলহাম— দ্রঃ পূর্বার্ধ, কবিরাজ ফৈজী অধ্যায় ।
(২) সংস্কৃত থেকে অনুবাদ
১৬. অর্থবন বেদ— দ্রঃ পূর্বার্ধ, মোল্লা বদায়ূনী অধ্যায় ।
২০. এয়ারে বেদ— দ্রঃ পূর্বার্ধ, আবুল ফজল অধ্যায় ।
২১. তাজিক— আকবরের আদেশে মুকম্মল খাঁ গুজরাতী কোনো একটি জ্যোতিষ গ্রন্থের এই অনুবাদ করেন। তাজিক মধ্য-এশিয়ার ফারসি-ভাষী একটি জাতির নাম। আরবিতেও তাজি শব্দ ব্যবহৃত হয়ে থাকে। সংস্কৃতে ফলিত জ্যোতিষের এক উচ্চশ্রেণীর পুস্তক ‘তাজিক নীলকণ্ঠী’ রয়েছে, তার ফল বহু লোক তাজিককে ফলিত জ্যোতিষ পর্যায়ভুক্ত মনে করে । সম্ভবত এই নামের মধ্যেও সেই ভাবের দ্যোতনা রয়েছে ।
২২. তারিখ-কাশ্মীর— মোল্লা- বদায়ূনী ৯৯৬ হিজরীতে (১৫৮৮-৮৯ খ্রিঃ) দুই মাসে এই পুস্তকটি লিখে শেষ করেন। প্রথমে শাহ মুহম্মদ শাহাবাদী (কাশ্মীরী)-কে দিয়ে কাশ্মীরের ইতিহাস ‘রাজতরঙ্গিণী’ ফারসিতে অনুবাদ করতে বলা হয়, কিন্তু ভাষা পছন্দ হয়নি আকবরের, সেটাকে পুনরায় ঠিক করার ভার দেওয়া হয় মোল্লা- বদায়ূনীকে ।
২৩. বারুল আসমা অ— ১০০৪ হিজরীতে (১৫৯৫-৯৬ খ্রিঃ) মোল্লা- বদায়ূনী এই গ্রন্থটির রচনা সমাপ্ত করেন। এটা সোমদেবের ‘কথাসরিৎ-সাগর’-এর ফারসি অনুবাদ নয় তো? এটি যথেষ্ট বড় পুস্তক ।
১৭. মহাভারত—ঐ
১৮. রামায়ণ—ঐ
২৪. লীলাবতী— দ্রঃ পূর্বার্ধ, কবিরাজ ফৈজী অধ্যায় ।
১৯. সিংহাসন বত্তীসী— ঐ
২৫. হরিবংশ ‘হরিবংশ’কে মহাভারতের পরিশিষ্ট হিসেবে সকলেই জানেন । আকবরের আদেশে কবি শিরী এর ফারসি অনুবাদ করেন। মোল্লা শিরী পাঞ্জাবে বিয়াসের তীরে অবস্থিত একটি গ্রামের ধীবর ছিলেন। সহজাত প্রতিভা ছিল, নিজের কৃতিত্বে তিনি আকবরের দরবারে স্থানলাভ করেন এবং শেষে দীন-ইলাহীতে যোগদান করে মহাবলীর চেলায় পরিণত হন ।

আরও দেখুনঃ