দাক্ষিণাত্যে আকবর

দাক্ষিণাত্যে আকবর – নিয়ে আজকের আলোচনা। এই পাঠটি “আকবর” বিষয়ের “দাক্ষিণাত্যের সংঘর্ষ” বিভাগের একটি পাঠ। ওই বছরের মাঝামাঝি সময়ে আকবর দাক্ষিণাত্য অভিমুখে যাত্রা করেন। ১৬০০ খ্রিস্টাব্দের শুরুতে তিনি বিনা প্রতিরোধে বুরহানপুর অধিকার করে নিয়েছিলেন ।

দাক্ষিণাত্যে আকবর

দাক্ষিণাত্যে আকবর  | দাক্ষিণাত্যের সঙ্ঘর্ষ | আকবর | দাক্ষিণাত্যের সঙ্ঘর্ষ | আকবর

 

আকবরের তৃতীয় পুত্র দানিয়াল ও খানখানার উপর আহমদনগর অধিকার করার দায়িত্ব দেওয়া হয়। চাঁদবিবিই আহমদনগরকে বাঁচাতে পারতেন, কিন্তু রাজদরবারের লোকেরাই তাঁকে মেরে ফেলেছিল, কিংবা তাঁকে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করা হয়েছিল। ফরিশতার মতে চিতা খান হিজড়ে এক জনতাকে নিয়ে গিয়েছিল চাঁদবিবিকে খতম করতে।

আকবরের শাসনকালে তিনি রাজপুতদের সাথে সন্ধি করার প্রয়াস করেছিলেন। কিছুটা যুদ্ধের দ্বারা, এবং অনেকটাই বিবাহসূত্রের দ্বারা তিনি এই প্রয়াসে সফল হয়েছিলেন। আমেরের রাজা ভরমল কন্যা জোধাবাঈ এর সাথে তার বিবাহ হয়। ভরমলের পুত্র রাজা ভগবান দাস আকবরের সভায় নবরত্নের একজন ছিলেন।

ভগবন দাসের পুত্র রাজা মান সিংহ আকবরের বিশাল সেনাবাহিনীর প্রধান সেনাপতি ছিলেন। রাজা টোডর মল ছিলেন আকবরের অর্থমন্ত্রী। আরেক রাজপুত, বীরবল, ছিলেন আকবরের সবচেয়ে কাছের বন্ধু ও প্রিয়পাত্র।

 

দাক্ষিণাত্যে আকবর  | দাক্ষিণাত্যের সঙ্ঘর্ষ | আকবর | দাক্ষিণাত্যের সঙ্ঘর্ষ | আকবর

 

বেশিরভাগ রাজপুত রাজ্য যখন আকবরের অধীনে চলে আসছে, তখন একমাত্র মেওয়ারের রাজপুত রাজা মহারানা উদয় সিংহ মুঘলদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন। চিতোরের পতনের পর তিনি উদয়পুর পালিয়ে গিয়েছিলেন এবং সেখান থেকে রাজপুতদের একত্রিত করতে চেষ্টা করেন। তার পুত্র মহারানা প্রতাপ সিংহ সারা জীবন মুঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে গিয়েছিলেন।

প্রতাপ আকবরের আনুগত্য মেনে না নিলেও, চিত্ত্বর দুর্গে আকবর আক্রমণ করার পর তারা পালিয়ে যায় এবং উদয়পুরে রাজ্য স্থাপন করে। এবং রাজপুতদের কখনো একত্রিতও করতে পারেনি। এছাড়াও প্রতাপ সিং চিত্ত্বর দুর্গ পুনঃরুদ্ধার করতে পারেনি। মেবারের রাজপুতরাই একমাত্র রাজপুত জাত যারা রাজ্য হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে তবুও আকবরের প্রতি আনুগত্য মেনে নেয় নি। আকবর প্রতাপের বোন কওম কে বিয়ে করতে চেয়েছেন কিন্ত পারেননি।

 

দাক্ষিণাত্যে আকবর  | দাক্ষিণাত্যের সঙ্ঘর্ষ | আকবর | দাক্ষিণাত্যের সঙ্ঘর্ষ | আকবর

 

অন্য লোকে বলত, চিতা খান হিজড়ে চাঁদবিবিকে হত্যা করে। ১৬০০ খ্রিস্টাব্দের আগস্টে অনায়াসে আহমদনগর দুর্গ অধিকার করে আকবরী সেনা তরোয়ালের আঘাতে ১৫০০ দুর্গরক্ষীকে হত্যা করে। তরুণ সুলতান বাহাদুরকে তার পরিবারের সঙ্গে জীবনভর কয়েদ করা হয়। কিন্তু মোগল সেনা সারা রাজ্য অধিকার করতে সক্ষম হয়নি। তার সিংহভাগই মুর্তজা খার অধিকারে থাকে ।

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment